ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভীরের মরদেহ কুষ্টিয়া থেকে নিজ জেলা বরগুনায় পৌঁছালে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ মাঠে তানভীরের প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কলেজ মাঠে বরগুনার সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার গড়াই নদে নেমে নিখোঁজ তানভীর আহমেদের বরগুনা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মালেকের ছেলে। মেধাবী তানভীরের অকাল মৃত্যুতে অশ্রু ঝড়েছে সহপাঠী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী সবার। সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের চরকগাছিয়াা গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তানভীরের মরদেহ।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৪৩ ঘণ্টা পর গড়াই নদে ভেসে উঠলো ঢাবিছাত্রের মরদেহ
জানাজা নামাজে অংশগ্রহণ করতে আসা পটুয়াখালী সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, তানভীর ভদ্র এবং বিনয়ী ছিল। বইয়ের প্রতি তার দুর্বলতা ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরে তিন মাস আমার সঙ্গে একই মেসে থেকেছে তানভীর। বন্ধুদের সঙ্গে বেশি আড্ডা অথবা বাহিরে ঘোরাঘুরি না করে বই পড়ত। তার এ অকাল মৃত্যু মেনে নেওয়ার মত নয়।
বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মতিয়ার রহমান বলেন, ২০১৬ সালে বরগুনা সরকারি কলেজে ভর্তির সুবাদে তানভীর আমার ছাত্র। এছাড়াও তানভীরের বাবা আমার সহকর্মী হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই তাকে দেখেছি। তার অকাল মৃত্যুতে দেশ একজন মেধাবীকে হারিয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার গড়াই নদে নেমে নিখোঁজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদের মরদেহ ৪৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়। বুধবার বেলা ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ওই নদ থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
জেএস/এএসএম