নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে যুবদল নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় বসুরহাট বাজারের কলেজ গেট, থানা গেট ও হাসপাতাল রোডে এ ঘটনা ঘটে।
বসুরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন বলেন, বুধবার চট্টগ্রামের তারুণ্যের সমাবেশে আমাদের যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। সেটি আমরা সেখানেই মীমাংসা করে দিয়েছি। পরে সকালে যুবদলের এক কর্মীর ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক গ্রুপ মিছিল নিয়ে কলেজ গেটে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। বিষয়টি আমরা দলীয়ভাবে নিরসনের চেষ্টা করি।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা
এরমধ্যে ছাত্রলীগের এক গ্রুপ অতর্কিতে হামলা চালিয়ে থানার সামনে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন (৪৮) ও হাসপাতাল রোডে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ওবায়দুল হক রাফেল (৩৫) ও ছাত্রদলের সাইমুনকে (২৩) পিটিয়ে জখম করে। পরে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলমগীরসহ (৩২) আরও একজন আহত হন।
আহত রাফেলকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে, রিপনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ও বাকিদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপে দলীয় কোন্দলে একে অপরের ওপর হামলা করে। পরে তারা অতর্কিতে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করে। এতে আমার দলের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষের খবরে বসুরহাট বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ কাউকে লাঠিচার্জ করেনি। সংঘর্ষের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ইকবাল হোসেন মজনু/আরএইচ/এমএস