ক্যাম্পাস

আন্দোলন চালিয়ে যাবেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

লিফট স্থাপন, দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ ১২ দফা দাবিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত আছে।

রোববার (১৮ জুন) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করছেন।

এর আগে শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে যবিপ্রবি ছাত্রলীগও এই আন্দোলনে যোগ দেয়।

যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা জানান, লিফট দ্রুত স্থাপন, দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, সেমিস্টার ফি কমানো, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃতি মামলায় চূড়ান্ত অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতিসহ ১২ দফা দাবিতে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তারা বিক্ষোভ করেন। এ সময় যবিপ্রবি ছাত্রলীগও আন্দোলনে এসে যুক্ত হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা যবিপ্রবি উপাচার্যের কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।

আরও পড়ুন: ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ যবিপ্রবি উপাচার্য

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমাধানের কোনো আশ্বাস না মেলায় রোববার সকাল থেকে আবারো বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল বলেন, লিফট স্থাপনসহ ১২ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে ছাত্রলীগ একাত্মতা ঘোষণা করে। দাবি নিয়ে শনিবার উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করলে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। এ দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা করবো।

যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। তাদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে ছাত্রলীগ। দাবি আদায় না হওয়ায় পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য ড. মো. আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের ১২ দফা দাবির মধ্যে যেগুলো যৌক্তিক সেগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে। আর কিছু দাবি আছে, যেগুলো আমার এখতিয়ারে নেই। আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে আমার কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে কথা বলাও ঠিক না।

উপাচার্য আরও বলেন, কিছু দাবি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন। সেই দাবি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর লিফট স্থাপনের বিষয়টি টেন্ডারপ্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। কমিটি লিফট বুঝে নেওয়ার পর স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে। এর আগে কিছু করার নেই।

মিলন রহমান/এসজে/এএসএম