ঝালকাঠিতে দেওয়ানি ও ফৌজদারি কার্যবিধির আওতায় ১ হাজার ৪৪৮ টি মামলা জেলা লিগ্যাল এইডের কার্যক্রম শুরুর পর আওতাভুক্ত হয়। এর মধ্যে ১৭০টি নিষ্পত্তি হয়েছে এবং ১ হাজার ২৭৮টি চলমান রয়েছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলায় দেওয়ানি ৩০২টি এবং ফৌজদারি ৩৩২টি মোট ৬৩৪ টি, নলছিটি উপজেলায় দেওয়ানি ২০৩টি এবং ফৌজদারি ১৪৬টি মোট ৩৪৯টি, রাজাপুর উপজেলায় দেওয়ানি ১৩৪টি এবং ফৌজদারি ১২৫টি মোট ২৫৯টি, কাঠালিয়া উপজেলায় দেওয়ানি ৯৮টি এবং ফৌজদারি ১০৮টি মোট ২০৬টি মামলা লিগ্যাল এইডে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় দেওয়ানি ৩০২ টির ১৯টি এবং ফৌজদারির ৩৩২টির ৩৯টি মোট ৫৮টি, নলছিটি উপজেলায় দেওয়ানি ২০৩টির ২৫টি এবং ফৌজদারি ১৪৬টির ৩৪টি মোট ৫৯টি, রাজাপুর উপজেলায় দেওয়ানি ১৩৪ টির ১২টি এবং ফৌজদারি ১২৫টির ১৫টি মোট ২৭টি, কাঠালিয়া উপজেলায় দেওয়ানি ৯৮টির ১০টি এবং ফৌজদারি ১০৮টির ১৬টি মোট ২৬টি মামলা লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। বর্তমানে লিগ্যাল এইডে মামলা চলমান রয়েছে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় দেওয়ানি ৩০২টির ২৮৩টি এবং ফৌজদারি ৩৩২টির ২৯৩টি মোট ৫৭৬টি, নলছিটি উপজেলায় দেওয়ানি ২০৩টির ১৭৮টি এবং ফৌজদারী ১৪৬টির ১১২টি মোট ২৯০টি, রাজাপুর উপজেলায় দেওয়ানি ১৩৪টির ১২২টি এবং ফৌজদারি ১২৫টির ১১০টি মোট ২৩২টি, কাঠালিয়া উপজেলায় দেওয়ানি ৯৮টির ৮৮টি এবং ফৌজদারি ১০৮টির ৯২টি মোট ১৮০টি। ২০০০ সালে আইন সহায়তা প্রদান কার্যক্রম চালু হয় এবং ২০১১ সালে স্থায়ী লিগ্যাল এইড অফিস চালু করা হয়। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি, উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটি, ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করা হয়। ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৪৪৮ জনকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে সদর উপজেলায় ৬৩৪ জনকে এবং সব চেয়ে কম সহায়তা প্রদান করা হয়েছে কাঠালিয়া উপজেলায় ২০৬ জনকে। সরকারি আইনি সেবা এবং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে `সরকারি আইনি সেবার মানোন্নয়নে সহায়তা প্রদান` প্রকল্পের আওতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের নির্দেশক্রমে সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রমের সাফল্য ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল `জেলা লিগ্যাল এইড অফিস` এক সেমিনারে লিগ্যাল এইডের ধারণাপত্র উপস্থাপন কালে জেলা আইনগত সহায়তা প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ও সিনিয়র সহকারী জজ মো. মাইনুল ইসলাম এ তথ্য প্রকাশ করেন। আতিকুর রহমান/এসএস/এমএস