মিয়ানমারে সংখ্যালঘুদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে সেনাবাহিনী। বিদ্রোহী এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে। শান প্রদেশে সেনাবাহিনীর অতর্কিত হামলায় সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এমন সময় এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ল যখন দেশটিতে সামরিক শাসনের অবসান হয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের সূচনা হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই দেশটির সেনা সমর্থিত সরকার গণতান্ত্রিক ভোটে নির্বাচিত অং সাং সু চির নেতৃত্বে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলকে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। শান দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের বৃহত্তম পাহাড়ি প্রদেশ। স্বায়ত্তশাসন বা স্বাধীনতার জন্য কয়েক দশক ধরেই সেখানে একাধিক বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনী প্রচারণায় দেশের সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দিয়েছেন সু চি। সেখানে বহু বছর ধরেই কেন্দ্রিয় সরকারের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। এই সমস্যা গুরুত্বের সঙ্গে মোকাবেলা করবে সু চি সরকার এমনটাই আশা সংখ্যালঘুদের। সেনাবাহিনীর অতর্কিত হামলায় বেসামরিক নাগরিকরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এ সম্পর্কে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সেনাবাহিনী হঠাৎ করেই আমাদের গ্রামে ঢুকে ভারি অস্ত্র দিয়ে গোলাগুলি শুরু করে। তখন আমরা পালাতে শুরু করি। কেউ কেউ কাছাকাছি জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। তারা সেখানেই আছে। টিটিএন/এমএস