ঈদুল আজহা উপলক্ষে শরীয়তপুর জেলার হাটগুলোতে কোরবানির পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। সাধ্যমতো পশু কিনছেন ক্রেতারা। গতবারের চেয়ে দাম ভালো পাওয়ায় খুশি খামারি ও কৃষকরাও। তবে আশানুরূপ বেচাকেনা নেই হাটগুলোতে।
ক্রেতারা বলছেন, দাম বেশি হওয়ায় তাদের বাজেটে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
আর খামারিরা বলছেন, খৈল-ভুষিসহ খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গরু লালন-পালনে ব্যয় বেশি হয়েছে। ফলে দাম একটু বেশি। তবে খামারিদের আশঙ্কা ভারতীয় গরু অবৈধপথে দেশে প্রবেশ করলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আর এ জন্য সরকারকে কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষক-খামামিরা।
শরীয়তপুরের অন্যতম বড় সখিপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গো-হাটে গিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রত্যকটি গরু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এতে বিক্রেতারা লাভবান হচ্ছেন।
গরু কিনতে আসা মোখলেছ প্রধানীয়া বলেন, ৪-৫ মণের একটি গরু কিনতে হাটে এসেছিলাম। কিন্তু গরুর যে দাম ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি দেশি ঘাঁড় কিনলাম। এর আগে এই গরুটির দাম হতো সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
কৃষক মোহাম্মদ আলী সিকদার হাটে এসেছেন গরু বিক্রি করতে। তিনি বলেন, আজকে গরুর দাম অনেক বেশি যাচ্ছে। আমার দেশি কালো গরুটিকে অনেকেই দরদাম করেছে। কিন্তু আমি ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় গরু বেচবো না। ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হলে গরুটি বিক্রি করবো। তবে বাজারে ক্রেতা থাকলেও গরু বেচাকেনা একেবারেই কম।
হাটে গরু বিক্রি করতে আসা খামারি আমির হোসেন বলেন, আজকে গরুর দাম অনেক বেশি। আমি ৫টি গরু নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি গরু বিক্রি করেছি।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওই হাটে আমি নিজে কোরবানির জন্য গরু কিনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু গরুর দাম অনেক বেশি। তাই ক্রেতারাও গরু কম কিনছেন।
এফএ/জেআইএম