দেশজুড়ে

পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রী-যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই ভোগান্তি

দুদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে কর্মস্থল ছাড়ছে মানুষ। নাড়ির টানে ছুটছেন বাড়ি। মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল থেকে বাস, ট্টেন ও সড়ক পথে আছে মানুষের ভিড়।

পথে পথে নানা দুর্ভোগ আর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ। তবে ঈদযাত্রায় এবারো বড় ধরনের ভোগান্তি নেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে। স্বস্তি নিয়েই ফেরি ও লঞ্চ পার হতে পারছেন যাত্রীরা।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার রাত থেকেই পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। সকালের দিকে দূরপাল্লার বাসের তুলনায় ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চাপ ছিলো বেশি। যানবাহন ও যাত্রী চাপ থাকলেও দীর্ঘসারি কিংবা যানজটে ভোগান্তির শিকার হতে হয়নি ঘরমুখো মানুষকে।

ঘাটে এসে সর্বোচ্চ ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে। ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি পার হতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা। তবে মাঝে মধ্যে বৃষ্টির কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জাগো নিউজকে বলেন, ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে ছোট বড় ২০টি ফেরি রেখেছেন। বর্তমানে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। রাত থেকে ঘাটে যাত্রী, যানবাহনের চাপ বাড়লেও অনায়াসেই পার হতে পারছে সবাই। তবে নদীতে পানি বাড়ায় পারাপারে আগের চেয়ে কিছুটা সময় বেশি লাগছে।

বি.এম খোরশেদ/এসজে/এমএস