যে যতটুকু অপরাধ করবে তার ততটুকু শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বুধবার (৫ জুলাই) বিকেলে মুন্সিগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা প্রতিটি ক্ষেত্রে থাকলে আমরা এগিয়ে যাবো। যে যতটুকু অপরাধ করবে তার ততটুকু শাস্তি পেতে হবে। এটা নিশ্চিত করা না গেলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না। এজন্য আসুন আমরা একসঙ্গে চেষ্টা করি করি। বিচারব্যবস্থা ফেল করলে গণতন্ত্র এবং রাষ্ট্র ফেল করবে। এটা আমরা হতে দিতে পারি না।
মামলা জটের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক বিচার পেন্ডিং থাকে বছরের পর বছর। এটি যদি চলতে থাকে তাহলে বিচারপ্রার্থীরা ভাবে দেশে বিচার নেই। এটা বিচারব্যবস্থার জন্য সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। এটা আমরা হতে দিতে পারি না। এজন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যেন মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়ে। আগামী ৪-৫ বছরে যেন সহনশীল পর্যায়ে চলে আসে। বিচারক-আইনজীবী সবার প্রতি আহ্বান বিচারপ্রার্থীরা যেন আদালতে এসে হয়রানির শিকার না হন সেজন্য সবাই সহায়তা করবেন।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, রাষ্ট্রের অন্য অঙ্গের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিচারব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এটা কারও একার পক্ষে সম্ভব না। বিচারক, আইনজীবী, সহকারী সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা বিচারব্যবস্থাকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জাকারিয়া মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রাব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. সাইফুর রহমান, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব মো. আরিফুর ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ সিনিয়র ও জেলা দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া রহমান, নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফায়জুন্নেছা, জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন উপস্থিত ছিলেন।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এমআরআর/জেআইএম