প্রবাস

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে সবার প্রিয় শফিকুল ভাই

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ভিন্ন ইমেজ গড়ে তুলেছেন মো. শফিকুল ইসলাম। প্রবাসীরা কেউ বলেন স্যার, আবার কেউ বলেন শফিক ভাই। দূতাবাসের লেবার উইংয়ের প্রথম সচিব শাহিদা সুলতানার পিএ হিসেবে কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। শফিকুল ইসলাম তার কাজের দক্ষতায় প্রবাসীদের কাছে একজন প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছেন। ট্রাভেল পাস নিতে এসে প্রবাসীরা তার কাছ থেকে পাচ্ছেন সর্বাত্মক সার্ভিস।শুধু তাই নয়, শফিকুলের কাজের প্রতি আন্তরিকতা দেখে খোদ প্রথম সচিব শাহিদা সুলতানা তার কাজের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন, প্রতিদিন শত শত অবৈধ প্রবাসী ট্রাভেল পাস নিতে যারা আসেন হাসিমুখে আন্তরিকতার সহিত তাদের কাজ সম্পন্ন করেন। শফিক না থাকলে কুলিয়ে উঠতে পারতাম না।মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ তার কাজে খুশি। সবাই তাকে স্নেহ করেন। গতকাল মঙ্গলবার এ প্রতিবেদক দূতাবাসে গেলে ৬ নম্বর রুমের সামনে মানুষের জটলা দেখে কৌতূহলী হয়ে উকি মেরে দেখেন কয়েকজন উচ্ছ্বস্বরে কথা বলছেন।তখন শফিকুল নরম সুরে বলেছেন, একটু ধৈর্য ধরুন আপনার ফাইল আসছে কি-না দেখে দিচ্ছি। মাত্র ৫ মিনিট কাজ হয়ে গেলো। যার কাজ সে মহাখুশি।৪০ বছর বয়সী শফিকুল প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে (সচিবালয়) দীর্ঘ ৯ বছর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন। তার কাজের দক্ষতা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তারা তাকে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়ে দেন।২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ মিশনে কাজে যোগ দেন তিনি। নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার শান্তিবাগে তার জন্ম। ১ ছেলে ও ১ মেয়ের বাবা শফিকুল।বিএ