বাংলাদেশে বিজ্ঞান গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম বিজ্ঞান গবেষণাগার ‘ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র’। দেশে পরমাণু বিজ্ঞান চর্চার অন্যতম পথিকৃত মরহুম ওয়াজেদ মিয়াকে স্মরণীয় করে রাখতেই এই নামকরণ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৯ সালে গবেষণা কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে ছয়তলা ভবনের নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। গবেষণাগারটি খুব শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. খবির উদ্দিন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিজ্ঞান গবেষণার জন্য তিন ধাপে প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়েছে। এসব উন্নতমানের যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে ইলিমেন্টাল অ্যানালাইজার, অ্যাডভান্স রিসার্চ মাইক্রোস্কোপ, ট্রাইনোকিউলার স্টেরিও জুম মাইক্রোস্কো, রেফ্রিজারেটেড আল্ট্রাসেন্ট্রিফিইজ, আল্ট্রাসনিক বাথ, আল্ট্রালো টেম্পারেচার ফ্রিজার, শেকিং ইনকিউবেটর, পিসি বেজড অটোমেটেড ইলেক্ট্র কেমিক্যাল ওয়ার্কস্টেশন অন্যতম। এসব উন্নতমানের ভারী যন্ত্রপাতি জাপান, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রিয়া থেকে কেনা হয়েছে।অধ্যাপক ড. মো. খবির উদ্দিন আরো জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের জন্য বাজেট কম থাকায় ল্যাবের সুযোগ সুবিধা বেশি থাকে না। এই কেন্দ্রের উন্নতমানের যন্ত্রপাতির মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা গবেষণা করতে পারবেন। এখানে আড়াই থেকে তিন কোটি মূল্যমানের যন্ত্রপাতি রয়েছে যা কোনো বিভাগের একার পক্ষে কেনা সম্ভব ছিল না। এখন এক জায়গায় বসে সবাই এসব উন্নতমানের যন্ত্রপাতির মাধ্যমে গবেষণার সুযোগ পাবেন। উন্নত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে বিভিন্ন হেভি মেটাল সুক্ষ্মভাবে শনাক্ত করতে পারবেন গবেষকরা।বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান এবং জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সব বিভাগ, প্রত্নতত্ত্ব এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এখানে গবেষণার সুযোগ পাবেন। এছাড়া এখানে বিভিন্ন মেশিনের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সার্টিফিকেট কোর্সেরও ব্যবস্থা থাকবে এই কেন্দ্রে। ইতোমধ্যে গবেষণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও গবেষণাগার পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।জাবি’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে গবেষণাগারের সব কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। আমরা খুব শিগগিরই কেন্দ্রটির কার্যক্রম শুরু করব। হাফিজুর রহমান/এমএমজেড/একে/পিআর