দেশজুড়ে

কালীগঞ্জের সব ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে সবগুলো ভোটকেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২০ মার্চ এ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বড় দুই রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলেরই শক্ত বিদ্রোহী প্রার্থী শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ তাই সবগুলো ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে আরও জানা যায়, মোট ১৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপুর্ণ। আড়পাড়া শিবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চাচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ২টি বেশি ঝুঁকিপুর্ণ। কালীগঞ্জ পৌরসভা ১৯৯০ সালের ১৪ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে মোট ভোটার রয়েছে ৩৭,০৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৭, ৬১৭ জন ও নারী ১৮, ৪২৭ জন।সুত্রে জানা গেছে, এখানে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মকছেদ আলী এবং বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীকে পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মন্টু। অন্যদিকে বিএপির প্রার্থী আতিয়ার রহমান, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুজ্জামান লাল।ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আজবাহার আলী শেখ জানান, ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৮ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবে। পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে টহল ও অভিযান জোরদার করা হচ্ছে। আত্মগোপনে থাকা সন্ত্রাসীরা যাতে এলাকায় ফিরে আসতে না পারে সে ব্যাপারে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সন্ত্রাসী-চরমপন্থীদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভোটাররা যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে সে পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে পুলিশের একটি মোবাইল টিম এবং প্রতি ৩টি ওয়ার্ডের জন্য একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে ৪টি মোটরসাইকেলে পুলিশের ৮ জন সদস্য টহল দেবে। এছাড়া বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।এসএস/এমএস