দেশজুড়ে

ধূমপান করতে দেখে ফেলায় দুই শিক্ষার্থীকে পিটুনি

লক্ষ্মীপুরে ধূমপান করতে দেখে ফেলায় ধাওয়া করে সুজন ও শাওন নামের দুই কলেজছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেছে একদল বখাটে।

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর সামনেই তাদের পেটানো হয়।

তানজীদ তুষার নামের এক বখাটে তার বন্ধুদের নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা।

আহত সুজন ও শাওন দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। সুজন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টার কলোনি এলাকার রংমিস্ত্রি মো. সেলিমের ছেলে। শাওনের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। সুজন ও শাওন ভালো বন্ধু।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, তানজিদ তুষার একটি বখাটে গ্রুপের প্রধান হিসেবে পরিচিত। তিনি নিয়মিত রাহিম, হাসিব গাজী ও সাইমুনসহ ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে কলেজ রোড, সামাদ স্কুল ও পিটিআই মোড়ে আড্ডা দেন। কারণে-অকারণে প্রতিপক্ষ তৈরি করে তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। তারা নিজেদের ‘ছাত্রলীগকর্মী’ দাবি করেন। তানজিদ তুষার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়ার অনুসারী বলে জানা গেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুজন জানান, ঘটনার সময় তিনি ও শাওন আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পশ্চিম পাশে হাঁটতে যান। তখন তানজিদ তুষার বন্ধুদের নিয়ে পুকুর ঘাটলায় বসে ধূমপান করছিলেন। এটি দেখে ফেলায় তারা সুজন ও শাওনের ওপর ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে ধরে এনে তুষার ও তার বন্ধুরা কাঠের টুকরা দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। এতে সুজন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে সুজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। ঘটনার পরপরই হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে কাউকে পাইনি। আর তানজিদ তুষার ছাত্রলীগের কেউ না। সে সামাদ স্কুলের ছাত্র ছিল। সে হিসেবেই তাকে চিনি।’

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন জানান, আহত অবস্থায় সুজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার চোখের নিচে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তানজিদ তুষারসহ তার বন্ধুরা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার লামচরী, সমসেরাবাদ, কলেজ রোড ও বাইশমারা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় তানজিদ তুষারের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার বিস্তারিত পরিচয়ও জানা যায়নি।

লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল আলম বলেন, হামলাকারীদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।

কাজল কায়েস/এসআর/জেআইএম