দেশজুড়ে

কুড়িগ্রামে ফের পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কুড়িগ্রামে আবারও ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তবে এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি পানি। পানি বৃদ্ধির ফলে লোকালয় ও নিম্নাঞ্চলসহ নতুন নতুন জেগে ওঠা চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এতে বিছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক পথ। যাতায়াতের একমাত্র বাহন হিসেবে নৌকাই এখন শেষ ভরসা।

বুধবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্র জানায়, কুড়িগ্রামের চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার নিচে, কুড়িগ্রাম সদর পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচে, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ৫২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কাঁচিচর গ্রামের ফারাজি পাড়া গ্রামের মো. আক্কাস আলী বলেন, কিছুদিন আগে বন্যা এসে রাস্তা ঘাট তলিয়ে গেছিল। যাতায়াতে আমাদের খুব কষ্ট ছিল। পানি কমার পর কয়েকদিন ভালোভাবে যাতায়াত করেছি। আবারও পানি বাড়ার কারণে রাস্তায় হাঁটুপানি হয়েছে। ফের চলাচলে কষ্ট শুরু হলো।

একই এলাকার নাজমুল ইসলাম বলেন, বাড়ির চারদিকে পানি, ঠিকমতো বের হওয়া যাচ্ছে না। হাট-বাজার করতেও সমস্যা হচ্ছে। গত বন্যায় সবজির ক্ষেত নষ্ট হওয়ার পর কিছু ছিল, এই পানিতে সেটাও শেষ।

ছড়ারপাড় গ্রামের মোছা. আলেয়া বেগম বলেন, পানি যেভাবে বাড়ছে রাতে ঘরে পানি ঢুকবে। বাচ্চা নিয়ে খুব দুর্ভোগে পড়বো। রাস্তাতো ডুবে গেছে। নৌকা নেই বলে বের হতে পারছি না। ছেলে-মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে পারছি না।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের পানি আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত বিপৎসীমার কাছাকাছি যেতে পারে। বর্তমানে নদীভাঙন কম। যেসব এলাকায় নদীভাঙন হচ্ছে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।

ফজলুল করিম ফারাজী/এফএ/জিকেএস