বান্দরবানের রুমা-থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও আপাতত সব পর্যটনস্পটে ভ্রমণ করতে পারবেন না ভ্রমণকারীরা। নির্দিষ্ট কিছু পর্যটনস্পট ভ্রমণ করতে হবে তাদের।
রোববার (১৬ জুলাই) রুমা ও থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বান্দরবানের রুমা-থানচি উপজেলায় ভ্রমণে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে রোয়াংছড়ি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে।
দীর্ঘ আট মাস পর শুক্রবার (১৪ জুলাই) বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর রুমা ও থানচি উপজেলায় স্থানীয় এবং বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। পরে কয়েক দফায় বাড়িয়ে রোয়াংছড়ি-রুমা, থানচি ও আলীকদমেও দেওয়া হয়েছিল এ নিষেধাজ্ঞা। আলীকদম ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও ক্রমান্বয়ে রোয়াংছড়ি-রুমা ও থানচিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল। অবশেষে রুমা ও থানচি উপজেলায় সেই নির্দেশনা প্রত্যাহার হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৮ মাস পর রুমা-থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহাবুল হক বলেন, রুমা উপজেলা ভ্রমণে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) কথিত ফেসবুক পেজ থেকে বিভিন্ন হুঁশিয়ারি প্রচার করা হচ্ছে। ফলে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সপ্তাহে তিনদিন বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার উপজেলার শুধুমাত্র বগা লেক পর্যটন কেন্দ্রে পাইলটিংয়ের (স্কট দিয়ে) মাধ্যমে ভ্রমণ করানো হবে। এ প্রক্রিয়া আগামী এক মাস চলমান থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সব কেন্দ্র উন্মুক্ত করা হবে।
থানচি ইউএনও মুহা. আবুল মনসুর বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তাজনিত কারণে হেঁটে বা ট্রেকিং করে যেতে হয় এমন পর্যটনস্পটগুলো ছাড়া অন্য সব স্পটে ভ্রমণকারীরা ভ্রমণ করতে পারবেন।
রুমা-থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, একপাক্ষিক গণবিজ্ঞপ্তি কেএনএর কাছে অগ্রহণযোগ্য ও অযৌক্তিক। তাই অতিবিলম্বে পর্যটন সংশ্লিষ্ট গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায়, এসব এলাকায় কেএনএর সেনাদের মোতায়েন করানো হবে। এতে আতঙ্ক সৃষ্টি হলে বা অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলে সেনাবাহিনী, প্রশাসন ও খোদ সরকারের ওপর সম্পূর্ণ দায় বর্তাবে। এমন বিবৃতির ফলে পর্যটদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
নয়ন চক্রবর্তী/এসআর/জিকেএস