রাজধানীর মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগ-বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের করা মামলায় হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরেক মামলায় বাইক পোড়ানোর অভিযোগ এনেছেন ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী। দুই মামলায় আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা মোট আসামির সংখ্যা ১২২৯ জন।
বুধবার (১৮ জুলাই) দারুস সালাম থানায় পৃথকভাবে মামলা দুটি করা হয়।
জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দারুস সালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মফিজুর রহমান পলাশ।
আরও পড়ুন>>> মিরপুরে বিএনপি-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, মোটরসাইকেলে আগুন
এদিকে মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আমিনুল বাশার।
থানা সূত্রে জানা গেছে, রুবেল হোসেন নামের এক শিক্ষার্থীর করা মামলায় ১২০ জনের নাম ও অজ্ঞাতপরিচয়ের ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যেখানে ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মীর আবু বক্কর ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন রতনসহ ১২০ জনের নাম রয়েছে।
মঙ্গলবার বিএনপির নেতাকর্মীরা যখন বাঙলা কলেজের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন রুবেল হোসেনের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে তিনি মামলাটি করেছেন।
অন্যদিকে পৃথক আরেক মামলা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। যেখানে ১০৯ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
ওসি শেখ আমিনুল বাশার বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কলেজের শিক্ষার্থী রুবেল হোসেন তার মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ায় একটি মামলা করেছেন। আর কলেজে হামলার অভিযোগ এনে কলেজ কর্তৃপক্ষ পৃথক আরেকটি মামলা করেছেন। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন>>> বাঙলা কলেজে ছাত্রলীগের ওপর ‘হামলার’ প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
জানা গেছে, মঙ্গলবার সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে গাবতলী থেকে পদযাত্রা শুরু করে বিএনপি। বেলা পৌনে ১২টার দিকে মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
জেএ/টিটি/এমআইএইচএস/জেআইএম