দেশজুড়ে

ইউপি নির্বাচন : ঠাকুরগাঁওয়ে এগিয়ে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির সম্ভাব্য কিছু চেয়ারম্যান প্রার্থী জনপ্রিয়তায় এগিয়ে থাকা সত্বেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন। বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন হামলা মামলায় মোকাবেলা করতে গিয়ে তারা ইতোমধ্যে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। তবে তৃণমূল মানুষের জরিপে বেরিয়ে এসেছে নির্বাচনে অংশ নিলে এসব নেতার বিজয় নিশ্চিত।গত দুই মাস ধরে নির্বাচন করবেন কি করবেন না, করলে খরচের একটি বিশাল ব্যাপার রয়েছে এমন সংশয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি তোফায়েল হোসেন। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে তিনি ওই ইউনিয়নে বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারির কাউন্সিলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাকে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত করেছেন।এই ইউনিয়নের মানুষের দাবি আমরা চেয়ারম্যান হিসেবে নতুন সভাপতি তোফায়েলকে চাই। কিন্তু দীর্ঘ রাজনীতির পেছনে সময় দিতে গিয়ে নিঃস্ব তোফায়েল হোসেন হোসেন সাধারণ মানুষকে আস্থার কোনো জবাব দিতে পারছেন না। রায়পুর এলাকার সামশুল আলম নামে এক প্রবীন ব্যক্তি জানান, এই ইউনিয়নটি হিন্দু ঘোষিত। কিন্তু এলাকায় বিএনপিকে সুসংগঠিত করেছে বর্তমান সভাপতি তোফায়েল হোসেন। দীর্ঘ ৮ বছর লড়াই সংগ্রাম করে তিনি নিঃস্ব প্রায়। কিন্তু বর্তমানে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় রায়পুরে বিএনপিকে জয়ী করার জন্য তোফায়েল হোসেনের বিকল্প নেই। ওই ইউনিয়নের হরিন্দা গ্রামের বাসিন্দা ইউসুব আলী জাগো নিউজকে জানান, তোফায়েল ভাই এলাকায় গরিবের বন্ধু নামে পরিচিত। তিনি দীর্ঘদিন ইউপি সদস্য ছিলেন। এবার নির্বাচনে তাকে আমরা চেয়ারম্যান করতে চাই। তাহলে তার কাছ থেকে কখনো কোনো গরিব  খালি হাতে ফেরত যাবে না।এছাড়াও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার অন্যান্য সব ইউনিয়নে বিএনপির সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। এর মধ্যে নারগুন ইউনিয়নে পয়গাম আলী, জগন্নাথপুরে মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, বড়গাঁওয়ে প্রভাত শ্রী, বালিয়া ইউনিয়নে আফাজ ভুইয়া ও ভুট্টু চৌধুরী, শুখানপুকুরে আলম, রুহিয়ায়, মানিক ও মোস্তফা ও মকবুল এবং আঁকচা ইউনিয়নে লিটন ও সারোয়ার চৌধুরী।

তবে সদর উপজেলার আঁকচা ইউনিয়নকে আওয়ামী লীগের ভোটের ঘাঁটি হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা ভোটার। তাদের মতে এ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সুব্রত রায়ের বিজয় এবারো নিশ্চিত।রহিয়া ইউনিয়নের মানিক জানান, বর্তমান সরকারের মামলায় আমরা ৮ বছর যাবত আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। ইউনিয়ন থেকে যে প্রার্থীকেই মনোনীত করুক না কেন কমবেশি সবাই প্রায় আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে। তাই অনেকে চেয়ারম্যান হওয়ার নিশ্চয়তা থাকা সত্বেও টাকার অভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছেন না।সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলাম জানান, আদালতে হাজিরা দিতে দিতে বিএনপির লোকজন এখন নিঃস্ব। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এলাকায় খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তি। কিন্তু আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল তিনি। তাকে না মনোনীত করলে বিএনপির আসনটি হারাবে।ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৈমুর রহমান জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতারা গত ৮ বছর যাবত লড়াই সংগ্রাম করে টিকে আছে। তাদের নামে কয়েক শত মামলা রয়েছে। দল থেকে ত্যাগী নেতাদের মনোনীত করে সকলে মিলে সহযোগিতা করে বিজয়ের মালা ছিনিয়ে আনবো আমরা।রবিউল এহ্সান রিপন/এফএ/আরআইপি