জাতীয়

বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠনের দাবি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করতে অবিলম্বে একটি জাতীয় কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধু হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান।  সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও দফতর সম্পাদক আহমাদ রাসেলের পরিচালনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়। এর আগে সংগঠনের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটের এবং মিষ্টি বিতরণ করেন। সকালে নেতৃবৃন্দ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনায় ফাতেহা পাঠ করেন। রাজধানীর শান্তিনগরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করে সংগঠনের উপদেষ্টা ও গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন। বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শহীদ সংসদ সদস্য নুরুল হক হাওলাদারের কন্যা ও ঢাকা মহানগর সভাপতি জোবায়দা হক অজন্তা, ডা. সুব্রত ঘোষ, শফিউল বারী রানা, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশিদ রনি, আজহারুল ইসলাম অপু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য  আনিসুর রহমান ও ইউসুফ হোসেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হতো না। বিগত ২০০৯ সালের নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু হত্যার রায় ঘোষিত হয়েছে। ১২ খুনীর মধ্যে ৫ জনের রায়ও কার্যকর হয়েছে। অথচ অদ্যাবদি বাঙালি জাতির মহান স্থপতি জাতির জনকের এই নৃশংস হত্যায় যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের চেহারা জাতির সামনে উন্মোচিত হয়নি। ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনাকারীরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। ফলে তারা রাজনৈতিক স্রোতের সাথে মিশে গিয়ে রাজনীতিকে কলুষিত করছে। এরাই পরবর্তীতে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনকে মদদ দেয়ার মতো নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। দেশে একের পর এক নাশকতা চালিয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। অতএব এই ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ জরুরি। তারা বলেন, এ লক্ষ্যে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করে এর রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে এবং হত্যাকারীদের মতো তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত প্রায় আট বছরেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী সাজাপ্রাপ্ত খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে না পারা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে আগামী আগস্টের মধ্যে খুনীদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিশুদের উপর নির্যাতন ও হত্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ এদেশকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তোলার শপথ গ্রহণ করে বলেন, শিশুদের জন্য এ ভুখন্ডকে নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়তে পারলেই শিশু দিবস পালন স্বার্থক হবে।এফএইচ/এআরএস/পিআর