ভৈরবে কাঠের গুঁড়া, ভূষি ও ক্ষতিকর রঙ মিশিয়ে ভেজাল মসলা উৎপাদনের দায়ে একটি কারখানা মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার উৎপাদন ও পরিবেশনসহ বাড়তি দাম রাখার দায়ে আরও পাঁচ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা নগদ অর্থদণ্ড আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ভৈরব বাজারের বিভিন্ন হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও কারখানায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসেন। এ সময় অভিযানে সহযোগিতা করেন পৌরসভার স্যানিটারি পরির্দশক নাসিমা বেগমসহ ভৈরব থানার পুলিশ সদস্যরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভেজাল মসলা উৎপাদনের দায়ে হামিদুল মিয়ার মসলার কারখানাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার উৎপাদন, পরিবেশন ও ক্রেতাদের কাছ থেকে বাড়তি দাম রাখার দায়ে ভৈরব বাজারের ‘আম্মাজান হোটেল’র মালিক স্বপন মিয়াকে ৫০ হাজার, ‘আলমগীর হোটেল’র মালিক মো. আলমগীরকে ২০ হাজার, ‘ভগবতি মিষ্টান্ন ভান্ডার’র মালিককে ২৫ হাজার, ‘রমেশ মিষ্টান্ন ভান্ডার’র মালিককে ২৫ হাজার ও ‘হোটেল দারুচিনি’র মালিককে ২০ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় জরিমানার নগদ অর্থ আদায় করা হয়।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসেন জানান, ভৈরব বাজারের মসলা উৎপাদন কারখানা ও বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে গিয়ে দেখা যায় মসলা উৎপাদন কারখানায় কাঠের গুঁড়া, ভূষি, চালের গুঁড়া ও ক্ষতিকর রঙ মিশিয়ে ভেজাল মসলা উৎপাদন করছে। এছাড়া বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ইচ্ছামত বাড়তি দাম, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও পরিবেশন করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের আর্থিক জরিমানাসসহ সর্তক করা হয়েছে।
রাজীবুল হাসান/এফএ/জেআইএম