দেশজুড়ে

রাতে নিখোঁজ, সকালে মিললো হোমিও চিকিৎসকের মরদেহ

রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন হোমিও চিকিৎসক বিজয় চন্দ্র বর্মণ। পরদিন সকালে তার মরদেহ মেলে আরেক দোকানের পাশে। তবে বিজয় হার্টের রোগী ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ বাজারের একটি দোকানের পেছন থেকে বিজয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি খুনিয়াগাছ মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত হেমন্ত চন্দ্র বর্মণের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিজয় চন্দ্র খুনিয়াগাছ বাজারে তার দোকানে প্রতিদিন রাত ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা দিয়ে বাড়ি ফেরেন। প্রতিদিনের মতো বুধবারও তিনি রাত ১২টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ির দিকে রওয়ানা দেন। তবে বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা তাকে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি। বৃহস্পতিবার সকালে খুনিয়াগাছ বাজারের আরেক দোকানি সাজু তার দোকান খুলতে গিয়ে বিজয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বাজারের অন্য দোকানিদের বিষয়টি জানালে তারা পুলিশকে খবর দেন। দুপুরের দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত হোমিও চিকিৎসকের স্ত্রী মায়া রাণী বলেন, প্রতিদিন রাত ১টা থেকে ২টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি আসে। কাল অনেক রাত হয়ে গেলেও তিনি বাড়িতে না আসায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। আজ সকালে তার মৃত্যুর কথা জানতে পেরে বাজারে ছুটে আসি।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামী হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হতে পারে। তার মৃত্যুতে কারও প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।

খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম বলেন, হোমিও চিকিৎসক বিজয় চন্দ্র বর্মণ হার্টের রোগী ছিলেন। হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হতে পারে।

খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান মণ্ডল বাদল বলেন, তার মৃত্যুর বিষয়ে কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশের সহযোগিতায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ওই পল্লিচিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে হার্টের রোগী ছিলেন। তার মৃত্যুর বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

রবিউল হাসান/এমআরআর/জিকেএস