পঞ্চগড়ে ব্যাংকে দায়িত্বরত অবস্থায় নিজের বন্দুকের গুলিতে নিহত কনস্টেবল ফিরোজ আহমেদকে (২৫) স্বামী দাবি করেছেন এক কলেজছাত্রী (১৭)। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) হাসপাতালে ছুটে এসে নিজেকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি।
কলেজছাত্রীর দাবি, ফিরোজ আহমেদ তাকে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন। তার সঙ্গেই সংসার করছিলেন তিনি।
তবে কলেজছাত্রীর খালাতো ভাই মো. সুজন বলেন, আমার খালাতো বোন দিনাজপুরে একটি আবাসিক মেসে থেকে লেখাপড়া করে। চার-পাঁচদিন ধরে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিয়ে বা সে পঞ্চগড়ের কোথায় ছিল এর কিছুই জানে না তার পরিবার।
আরও পড়ুন: মোবাইলে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, পুলিশ সদস্যের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, ফিরোজ আহমেদ পঞ্চগড় পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন। দিনাজপুরের আবতাবগঞ্জ এলাকার গ্রামের বাড়িতে তার স্ত্রীসহ ছয় মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে কয়েকদিন ধরে শহরের ইসলামবাগ মহল্লায় স্ত্রী পরিচয়ে ওই কলেজছাত্রীকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
এ ঘটনায় নিহত ফিরোজের বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তারা পুলিশের কাছ থেকে ফিরোজের মরদেহ নিয়ে যান।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শহরের সোনালী ব্যাংকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফিরোজ আহমেদের মৃত্যু হয়। তিনি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পলি মির্জাপুর আবতাবগঞ্জ এলাকা আবু সাঈদের ছেলে।
সফিকুল আলম/আরএইচ/এএসএম