দেশজুড়ে

‘শুনছি সাগরে অনেক ঢেউ, তাই ছুটে এসেছি’

সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর সাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে সকাল থেকে উপকূলীয় এলাকায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও পর্যটকদের আগমন থামছে না। কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা উচ্ছ্বাসে মেতেছেন সমুদ্রে। কেউ কেউ উত্তাল ঢেউয়ের খবরে ছুটে এসেছেন কুয়াকাটায়।

মামুন নামের একজন পর্যটক জাগো নিউজকে বলেন, ‘গতকালকের খবরে দেখেছি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত অনেক উত্তাল। তাই আজ সকালে পরিবারের সবাইকে নিয়ে উত্তাল সমুদ্রে গোসল করতে এসেছি। এর আগেও অনেকবার কুয়াকাটা এসেছি কিন্তু উত্তাল ঢেউ দেখতে কুয়াকাটা আসবো সেই অপেক্ষায় ছিলাম। আজ সেই আশাটা পূরণ হলো।’

শনিবার (৫ আগস্ট) কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখা যায়, সাগর উত্তাল। একের পর এক উঁচু উঁচু ঢেউ কূলের দিকে ছুটে আসছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় বালিয়াড়িতে উল্লাসে মেতেছেন পর্যটকরা। উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যেই তারা গোসল করছেন।

আরও পড়ুন: আজও সারাদেশে বৃষ্টির আভাস, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল

দীপ্তি নামের একজন পর্যটক বলেন, ‘এর আগেও বেশ কয়েকবার কুয়াকাটা এসেছি কিন্তু আজ এসে এত সুন্দর এবং এত উত্তাল ঢেউ দেখেছি যে কুয়াকাটা আসাটা মনে হয় সার্থক হলো। বর্ষায় অনেক আনন্দ হয়।’

আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় জেলার কলাপাড়ায় ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যেকোনো সময় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়ে। এ অবস্থায় পটুয়াখালীর পায়রা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জাগো নিউজকে বলেন, উত্তাল সমুদ্রে আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি বাড়িয়েছি। পর্যটকদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে নামতে দেওয়া হচ্ছে না।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জয়দেব কবিরাজ জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টির এ ধারা আরও বাড়তে পারে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসআর/এএসএম