শেরপুরের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দিয়ে মাহেরা আহমেদ বিথী (২৭) নামে এক স্কুলশিক্ষক নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) বিকেলের দিকে শেরপুর-জামালপুর ব্রিজ সংলগ্ন সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত বিথী জামালপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দেওয়ানপাড়া এলাকার মৃত শফিউদ্দীন আহমেদ শাহিনের মেয়ে ও নান্দিনা এলাকার জাহিদ আনোয়ার লিটনের (৩৫) স্ত্রী। তিনি জামালপুর শহরের একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন।
বিথীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে বিথী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে হাঁটতে গেলে তার ভ্যানিটি ব্যাগ, জুতা ও মোবাইল ফোন রেখে নদে ঝাঁপ দিলে ডুবে যান। পরে স্থানীয়রা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত বিথীর খোঁজ পায়নি। পরে শনিবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিস আবার ওই স্থানে উদ্ধার কাজ শুরু করলে সেখানেই পানির নিচ থেকে বিথীর মরদেহ পাওয়া যায়।
ফায়ার সার্ভিস জামালপুরের স্পেশাল অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, দুইদিনের চেষ্টার পর স্কুলশিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিথীর স্বজনদের দাবি, জনি নামে একটি ছেলে বিথীকে উত্যাক্ত করে আসছিলেন। এ কারণে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
ইমরান হাসান রাব্বী/এফএ/জেআইএম