দেশজুড়ে

নেত্রকোনায় আ.লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের শক্ত অবস্থান

আগামী ২২ মার্চ প্রথম দফায় নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে গাজীপুর ইউনিয়ন ব্যতীত বাকি পাঁচটিতেই আওয়ামী লীগের শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী থাকা এবং বিদ্রোহীদের বহিষ্কার না করায় নৌকার মনোনীত প্রার্থীরা অনেকটা বেকায়দায় পড়েছেন। খালিয়াজুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে জানান, বিদ্রোহীদের বহিষ্কারের জন্য অনেক আগেই উপজেলা থেকে জেলায় চিঠি পাঠালেও তাদের শুক্রবার পর্যন্ত বহিষ্কারের কোনো খবর নেই। নৌকার প্রার্থীও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।  বিদোহীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ নিয়ে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে চাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী এবং খালিয়াজুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ জানান। আর এ সুযোগে বিএনপি অর্থাৎ ধানের শীষের প্রার্থীরা সরকারি দলের কোনো বাধা ছাড়াই দারুণ আরামে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।   খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম আবু ইসহাক। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে লড়ছেন খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি শামসুজ্জামান তালুকদার শোয়েবের বড় ভাই সানোয়ারুজ্জামান যোসেফ।উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নৌকার প্রার্থীর পক্ষে না গিয়ে তার ভাইয়ের পক্ষে (বিদ্রোহী প্রার্থী) নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে নৌকার প্রার্থী ইসহাক অভিযোগ করেছেন। আর এই নিয়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে চাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে। সেখানে নৌকার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক আবুল কালামের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা চৌধুরী জুয়েল। এই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের মধ্যে হয়েছে মামলাও। মামলায় নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান খালিয়াজুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমিজুল হক। শুধুমাত্র গাজীপুর ইউনিয়ন ছাড়া সবকটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিদ্রোহী প্রার্থীর জন্য সমস্যায় রয়েছেন। গাজীপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হচ্ছেন আতাউর রহমান। সেখানে বিএনপির প্রার্থী যেমন নেই, তেমনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীও নেই। এই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন শরিফ মিয়া।  উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী জাগো নিউজকে জানান, যদি জেলা আওয়ামী লীগ থেকে জরুরিভাবে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর ব্যবস্থা না নেয়া হয়। তাহলে নৌকার প্রার্থীদের জয়লাভ করা কঠিন হবে। কামাল হোসাইন/এআরএ/আরআইপি