অবশেষে উদ্ধার হলো সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে সাড়ে তিন লাখ লিটারেরও বেশি তেল নিয়ে ডুবে যাওয়া জাহাজটি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে জাহাজটিকে দেশীয় পদ্ধতিতে তিরে টেনে আনা হয়।জাহাজের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মের্সাস হারুণ অ্যান্ড কোং এর ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন জানান, তিনটি কার্গো জাহাজ ও স্থানীয় ডুবুরিদের সহায়তায় দেশিয় পদ্ধতিতে ডুবন্ত জাহাজটিকে তিরের দিকে টেনে আনা হয়।ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধারে নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল থেকে গত মঙ্গলবার রাতে প্রত্যয় ও নির্ভীক নামের দুটি জাহাজ রওনা হলেও এখনো ঘটনা স্থলে পৌছতে পারেনি। সুন্দরবনের অনেক নদীতে ছড়িয়ে পড়ছে তেল তেল ছড়িয়ে পড়া এলাকাটি সরকার ঘোষিত ডলফিনের অভয়ারণ্য। এ ছাড়া সুন্দরবন ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য এবং জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি। জাতিসংঘের ওই দুই সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী সুন্দরবনের ভেতর এ এলাকা দিয়ে নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ। বন বিভাগ থেকে একাধিকবার এবং জাতিসংঘের জলাভূমিবিষয়ক সংস্থা রামসার কর্তৃপক্ষ, বিজ্ঞান-শিক্ষা ও ঐতিহ্যবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো থেকে নৌপথটি নিয়ে আপত্তি তুলে তা বন্ধের আহ্বান জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।গত মঙ্গলবার ভোরে ফার্নেস তেলবাহী ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ অপর একটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ ঘটনায় সুন্দরবনের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা অনুসন্ধানে জাতিসংঘের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল শিগগিরই বাংলাদেশে আসতে পারে।তদন্ত কমিটি গঠনএদিকে জ্বালানি তেলবাহী জাহাজডুবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নূরুল করিমকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়।কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক দিলীপ কুমার দত্ত, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সুলতান আহমদ, খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বাণিজ্যিক) মো. রেজাউল হক, বিআইডব্লিউটিএর একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পরিচালক (বিপণন) মীর রেজা আলী, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের একজন প্রতিনিধি।