ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রায় সাড়ে তিনশ শিক্ষার্থী সেশনজটে ভুক্তভোগী। আর তাই শিক্ষার্থীরা এ বিভাগটির নাম দিয়েছে সেশনজট বিভাগ।
জানা যায়, বিভাগে পাঁচটি ব্যাচ অধ্যয়নরত থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে অনার্সে পাঁচটি এবং মাস্টার্সে দুইটি মোট সাতটি ব্যাচ অধ্যয়নরত রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা এখনো হয়নি। অথচ একই বর্ষের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্নাতক শেষ করে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত এবং অনেকেই চাকরি জীবনে পদার্পণ করেছেন।
বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এ বিভাগে সেশনজটের কারণে চার বছরের স্নাতক শেষ করতে লেগে যায় ছয়-সাত বছর। আর এ সেশনজট হচ্ছে মূলত যথাসময়ে পরীক্ষা না নেওয়া এবং ফলাফল প্রকাশে দেরি করার জন্য। এছাড়াও শিক্ষকদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বড় একটি কারণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগটির এক শিক্ষার্থী বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সারির একটি বিভাগ সিএসই তে ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু ভর্তির সাড়ে চার বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি আমাদের তৃতীয় বর্ষ। অথচ একই সঙ্গে ভর্তি হওয়া অন্যদের স্নাতক শেষ হয়ে গেছে। ক্লাস হলেও পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশে দেরি করায় এ সমস্যা বাড়ছে বলে আমি মনে করি।
আরও পড়ুন: বিষের বোতল হাতে ভাইভা বোর্ডে প্রার্থী, কারণ যা জানা গেলো
বিভাগটির সভাপতি ড. অধ্যাপক রবিউল হক বলেন, সেশন জটের কারণে অন্যান্য বিভাগের তুলনায় আমাদের বিভাগ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। তবে আমরা এই সংকট থেকে খুব শীঘ্রই পরিত্রাণ পাবো। এরই মধ্যে আমরা সেশনজট দূর করার লক্ষ্যে পরীক্ষার মাস্টারপ্ল্যান নির্ধারণ করেছি। আশা করা যায় এক বছরের মধ্যে এটা কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিভাগের শিক্ষক তুলনামূলক কম। এছাড়া এক সঙ্গে কয়েকটি সেশনের পরীক্ষা নেওয়ার ফলে ফলাফল প্রকাশে দেরি হয়। তবে এই সব সমস্যা অতিক্রম করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেশনজট দূর হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, সেশনজট থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষার দাবিতে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিলেও প্রকৃতপক্ষে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ তাদের।
রুমি নোমান/জেএস/জেআইএম