কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন পর নির্বাচন হওয়ায় নারী-পুরুষ সকল ভোটারই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে এসেছেন। সকাল ৮ থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে দুই পৌরসভাতেই নারী ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। দুই পৌরসভায় মেয়র পদে সাতজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৭৮ জন এবং ২৮ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। চকরিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই মেয়রসহ তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ২০ জন নারী ও ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৫১ জন কাউন্সিলর প্রার্থীসহ সর্বমোট ৭৩জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৪২ হাজার ৩০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২২ হাজার ২৬৫ জন ও নারী ভোটার ১৮ হাজার ৯২২ জন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় চকরিয়ার প্রতিটি কেন্দ্রে ১৪ জন আনসার ও অফিসারসহ ৯ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে পুলিশের ৬টি মোবাইল টিম, ৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ৬৪ সদস্যের ২ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৬টি টিম। অপরদিকে, মহেশখালী পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন প্রার্থী। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮ ও পুরুষ কাউন্সিলর পদে ২৭ জনসহ সর্বমোট ৩৫ জন প্রার্থী। মহেশখালী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১৭ হাজার ৯৪৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ২১ ও নারী ভোটার ৮ হাজার ১৮৭ জন। এ পৌরসভায় এক প্লাটুন বিজিবি, দু’টি র্যাব টিম নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। এছাড়া প্রতি কেন্দ্রে ২২ জন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন জানান, দুই পৌরসভায় সব কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোথাও কোন কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়নি। গুরুত্ব বিবেচনায় সব কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। সায়ীদ আলমগীর/এসএস/এমএস