বরগুনায় কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ৪০ টাকা। বৃষ্টির কারণে ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বরগুনা পৌর কাঁচা বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশীয় কাঁচা মরিচের দাম একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে।
বাজারে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হলেও বর্তমানে সেটি বেড়ে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থানীয় কাঁচা মরিচের দাম একটু বেশি থাকে। মূল্যবৃদ্ধির কারণে বরাবরের মতোই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। দাম নিয়ে ক্রেতারা খুচরা কাঁচামাল বিক্রেতাদের সঙ্গে তর্কে জড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: মরিচের কেজি ফের ৪০০, বেড়েছে টমেটোর দাম
বিক্রেতা আরিফ বলেন, আমরা যেভাবে পাইকারি দরে কিনি ওখান থেকে অল্প কিছু লাভ করে খুচরা বিক্রি করি। দাম বাড়ায় কমায় আমাদের কোনো হাত থাকে না। অল্প লাভেই আমরা মরিচসহ কাঁচামাল বিক্রি করে থাকি।
ক্রেতা পৌর এলাকার পিটিআই রোডের বাসিন্দা আনোয়ার ও ইব্রাহিম বলেন, একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে। তাছাড়া সবজিসহ অন্যান্য কাঁচ মালের দাম একই। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে সব ধরনের শাকসবজি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।
অপর এক ক্রেতা জহিরুল ইসলাম বাদল বলেন, দর ওঠানামার কারণে আমরা কাঁচা মরিচের ব্যবহার কমাতে বাধ্য হচ্ছি। ব্যবসায়ীরা মনগড়া দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে।
হোটেল ব্যবসায়ী ইয়াকুব মুসল্লি বলেন, সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে গত সপ্তাহের তুলনায়। আবারো কাঁচা মরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তিন দিন আগে যে দাম দিয়ে কাঁচা মরিচ কিনেছি আজ তা কিনতে এসে দেখি কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে কারণ এখানে বাজার মনিটরিং করা হয় না।
বরগুনা কাঁচা বাজার মালিক সমিতির সভাপতি আলামিন বলেন, আগে তো ১২০০ টাকা কেজি ছিল এখন তো অনেক কমে গেছে। টানা বৃষ্টির কারণে ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। তাই একটু দাম বেশি। এতটুকু বেশি যদি আপনারা না মানেন তাহলে আমরা ব্যবসা করে কিভাবে খাব।
আরএইচ/জিকেএস