লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ধান চুরির মামলায় কারাবন্দি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিম ও তার ভাই নুরুল আমিনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম সৈয়দা আমিনা ফারহিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সামছুদ্দিন হিমেল ভূঁইয়া জানান, ধান চুরির মামলায় মে মাসেই চেয়ারম্যান জসিমসহ ৯ আসামি জামিন পান। এরপর তারা আদালতে একবার হাজিরা দিয়েছেন। জামিনের পর রোববার (২০ আগস্ট) দ্বিতীয় হাজিরার সময় ছিল। এইদিন তারা আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। যেহেতু তাদের জামিন মেয়াদ শেষ হয়নি। এজন্য তারা পুনরায় জামিনের আবেদনও করেননি। মামলাটি ঊর্ধ্বতন আদালতে হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল কমলনগর আদালতের বিচারক স্বপ্রণোদিত হয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতকে বুঝাতে সক্ষম হওয়ায় বিচারক দুইজনকে জামিন দিয়েছেন।
জামিনপ্রাপ্ত জসিম রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
আরও পড়ুন: ধান চুরির মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জন কারাগারে
বাদী জামানারা আক্তার লিনা কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ গ্রামের ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনের স্ত্রী। আসামি ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন তার চাচা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে চেয়ারম্যান জসিম ও তার বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তোরাবগঞ্জ গ্রামে বাদীর চার একর ৪৫ শতাংশ জমিতে থাকা ২৫০ মণ আমন ধান কেটে নিয়ে যায়। ধানগুলোর বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা ছিল। ধান লুটে বাধা দেওয়ায় বাদীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির করা হয়।
এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর লীনা বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কমলনগর আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ১৫ মার্চ কমলনগর থানা পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন।
বাদীর আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ধান চুরি মামলায় রোববার আদালতে শুনানি ছিল। এসময় আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কাজল কায়েস/জেএস/এমএস