দেশজুড়ে

ভাঙাচোরা সড়ক মেরামতে অবহেলা, ‘অভিশাপ’ দিয়ে সাঁটানো হলো ফেস্টুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরে থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীরা। সম্প্রতি ফেসবুকে এই নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

এরই জেরে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সড়কটির কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ফেস্টুন সাঁটিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

ফেস্টুনগুলোতে লেখা রয়েছে ‘যাদের দায়িত্বের অবহেলার কারণে এই রাস্তার বেহাল দশা-জনদুর্ভোগ তাদের এবং তাদের পরিবারের ওপর আল্লাহর গজব নাযিল হোক’। এর কিছু পরেই ‘অভিশাপ’ দেওয়া ওই ফেস্টুনের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দক্ষিণ কালিবাড়ি মোড় থেকে নবীনগরের কৃষ্ণনগর পর্যন্ত সড়কটি জেলা পরিষদের অধীনে ছিল। এই সড়কের দক্ষিণ পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে আমিনপুর সেতু পর্যন্ত গত দুই বছর ধরে খানাখন্দে ভরে যায়। সড়কটি মেরামত করতে জেলা পরিষদ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কাছে হস্তান্তর করে।

প্রায় ছয়/সাত মাস আগে সাড়ে পাঁচ কোটি ব্যয়ে সড়ক মেরামতের কাজ পায় হাসান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু মাঝে কিছুদিন কাজ চললেও তিন মাস ধরে দক্ষিণ পৈরতলা রেলগেট থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

এ নিয়ে এলজিইডি এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দিয়েও লাভ হয়নি। পরে মঙ্গলবার ওই সড়কের তিনটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ‘অভিশাপ’ দিয়ে কে বা কারা ফেস্টুন সাঁটিয়ে দিয়ে যান। সেই ফেস্টুনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে দক্ষিণ পৈরতলার বাসিন্দা আল আমিন বলেন, সড়কের এই বেহাল দশায় আমাদের চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজটি ফেলে রেখেছে। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে কে বা কারা এই ফেস্টুন সাঁটিয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খায়রুল হাসান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ব্যাংককে থাকায় এই বিষয়ে বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হান্নান জাগো নিউজকে বলেন, ফেস্টুনটি আমার নজরে এসেছে। ঠিকাদার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ব্যাংককে চিকিৎসাধীন আছেন। সড়কটিতে পানি জমে থাকায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সড়কটি মেরামত শেষ হয়ে যাবে।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এমআরআর/এএসএম