দেশজুড়ে

পেঁয়াজের কেজি ৯০ টাকা, স্বস্তি নেই সবজিতেও

রংপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহেও ছিল ৮০ ও ৬০ টাকা। একই সঙ্গে বেড়েছে কিছু সবজির দাম। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে তেল, চাল, ডাল ও মাছ-মাংসের দাম।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি গত সপ্তাহের মতোই ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৭০-২০০ টাকা, দেশি আদা ৩৫০-৪০০ টাকা ও ভারতীয় আদা ২৫০-২৮০ টাকা, প্রতিকেজি টমেটো ১৮০-২০০ টাকা, প্রতিপিস চালকুমড়া ৫০-৬০ টাকা, চিকন বেগুন ৪৫-৫০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫-৮০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, করলার দাম বেড়ে ৯০-১০০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১০-১২ টাকা, শুকনা মরিচ ৫৫০-৬০০ টাকা, প্রতিপিস লাউয়ের (আকারভেদে) দাম বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, ধনেপাতা ১৭০-২০০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়ার দাম বেড়ে ৫০-৫৫ টাকা, ঝিঙে ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, দুধকুষি ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০-৫০ টাকা, পটল ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০-৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, কাঁকরোল ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৫৫ টাকা, কচুরলতি ৭০-৮০ টাকা, কচুরবই ৫৫-৬০ টাকা, দেশি রসুন ২৬০-২৮০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সবধরনের শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলুর দাম বেড়ে ৩৮-৪০ টাকা, সাদা দেশি আলু ৫০-৫৫ টাকা এবং শিল ও ঝাউ আলু ৫৫ টাকা টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বেড়েছে পেঁয়াজ-মাছ-ডিমের দাম, বিপাকে ক্রেতারা

মাহিগঞ্জ বাজারের সবজি বিক্রেতা আজিজুল বলেন, একটার দাম একটু কমে তো আর একটার দাম বাড়ে। বাজারে স্বস্তি ফিরছে না। এতে আমরা বিক্রেতারাও বিক্রি করে শান্তি পাই না। দাম বেশি হওয়ার কারণে আগের মতো বিক্রি হয় না।

মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি আগের মতোই ২৮০-৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৫০-৪৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস ৭০০-৭২০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সিটি বাজারের মুরগি বিক্রেতা মফিজুল বলেন, কখন দাম কাড়ে আর কখন কমে তার ঠিক নেই। দুই সপ্তাহ ধরে মুরগির বাজার সিন্ডিকেটের স্থিতিশীল রয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭৯ টাকা এবং দুই লিটার ৩৫৮-৩৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতোই ৫০ টাকা, পাইজাম ৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৬০ টাকা, বিআর২৮ ৬৩-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা ও নাজিরশাইল ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি গত সপ্তাহের দরেই ১৩৫-১৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৬০ টাকা ও খোলা আটা ৫০ টাকা, ছোলাবুট ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৪০ টাকা এবং বুটডাল ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: আরও বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/জেএস/এএসএম