চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিখোঁজের ১১ দিন পর মোস্তফা আলী নামে এক দোকান কর্মচারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাথাভাঙ্গা নদীর ফেরিঘাট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মোস্তফা হারদী ইউনিয়নের মোড়ভাঙ্গা গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে। তিনি হাটবোয়ালিয়া বাজারস্থ জননী স্টোর নামের একটি মুদি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। ১৪ আগস্ট রাত ৯টায় বাড়ি ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন।
আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একরামুল হুসাইন বলেন, খবর পেয়ে দুপুরের পর অর্ধগলিত যুবকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনি ১১দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাশঁবাড়িয়া সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীতে নৌকা পারাপারের সময় দুর্গন্ধ ভাসমান বস্তু দেখতে পান এলাকাবাসী। দুর্গন্ধ খুঁজতে গেলে তারা এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
পরিবারের লোকজন নদীপাড়ে এসে মোস্তফার মরদেহ শনাক্ত করেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, মোস্তফা আলী ১৪ আগস্ট নিখোঁজ হন। ১৫ আগস্ট এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি জিডি হয়। আজ মাথাভাঙ্গা নদীতে অর্ধগলিত মরদেহ ভেসে উঠলে মোস্তফার ভাই পরিহিত প্যান্ট এবং গেঞ্জি দেখে শনাক্ত করেন এটি মোস্তফার মরদেহ।
ওসি আরও বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
হুসাইন মালিক/এসজে/জেআইএম