রাজবাড়ীতে বিকেল বা সন্ধ্যার নাশতায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রিয় হয়ে উঠেছে হিরালালের লুচি-সবজি ও ছোলার ডাল। মাত্র ৩০ টাকায় পাওয়া যায় দুইটি লুচি, সবজি ও ডাল।
রাজবাড়ী জেলা শহরের ১নম্বর রেলগেইট এলাকার ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয় সড়কে অবস্থিত এ হিরালাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কেজি ময়দার লুচি বিক্রি হয় এ হোটেলটিতে। লুচি-সবজির পাশাপাশি এখানকার পাটি শাপটা, দই ও হরেক রকম মিষ্টিরও রয়েছে বেশ কদর।
জানা গেছে, প্রায় ২০ মাস আগে সবুজ মজুমদার শহরের ১ নম্বর রেলগেইট এলাকায় একটি হোটেল দেন। হোটেলটিতে শুরুতে মিষ্টি, পুরি, সিঙ্গারার আইটেম থাকলেও কয়েকমাস পরই শুরু করেছেন লুচি-সবজি ও ছোলার ডালের আইটেম। পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া পাতা কপি, পটল, গাজার, পেঁপেসহ কয়েক ধরনের সবজি তৈরি হয় মজাদার সবজি এবং দেশি ছোলা দিয়ে তৈরি হয় ডাল। ফলে বিকেল বা সন্ধ্যার নাশতায় ভোজনরশিকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই লুচি-সবজি। এদিকে জেলা শহরের বহু হোটেল থাকলেও হিরালালের তৈরি লুচি-সবজি সবার কাছে প্রিয়। বসে খাওয়ার চেয়ে বেশি বিক্রি হয় পার্সেলে।
আরও পড়ুন: খাবারের তালিকায় ভাজি-ডাল-শাকসবজি, বাদ পড়ছে ডিমও
হিরালাল হোটেলে খেতে আসা কয়েকজন ক্রেতা বলেন, হিরালাল হোটেল ছাড়া রাজবাড়ীর কোথাও লুচি তৈরি হয় না। বর্তমান লুচি-সবজি বলতেই হিরালাল বুঝায়। কারণে ওদের লুচি-সবজি বেশ সুস্বাদু। এমনকি দামও কম। গরম গরম লুচি-সবজি ও ডাল খেতে বেশ ভাল লাগে। যার কারণে তারা প্রায় মাঝে মধ্যেই বিকেলে এই লুচি-সবজি খেতে আসি। অনেক সময় এখানে সিরিয়ালে ধরে অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া এখানের পাটি শাপটা পিঠা, দই, মিষ্টিও অনেক ভাল। এখানকার খাবারের মান বেশ ভাল।
হিরালাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক সবুজ মজুমদার বলেন, বিকেলে অল্প দামে ক্রেতাদের হালকা নাশতার বিষয় চিন্তা করে লুচি-সবজি ও ছোলার ডাল চালু করেছি। এখন যত দিন যাচ্ছে ততই বিক্রি বাড়ছে। প্রতিদিন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কেজি ময়দার লুচি বিক্রি হয়। তারপরও অনেক সময় চাহিদা অনুযায়ী ক্রেতাদের দিতে পারি না। হোটেলে যেমন বিক্রি হয়, তার চেয়ে বেশি পার্সেল যায়। লুচি-সবজির পাশাপাশি পাটি শাপটা পিঠা, দই, মিষ্টিও ভাল চলে। মূলত সবজি ও ছোলার ডালের কারণে লুচি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়া দামও কম, তাই সবাই খেতে পারে।
আরও পড়ুন: আমচাষিদের আশার আলো দেখাচ্ছে জার্মানি পদ্ধতির হিমাগার
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি হোটেল ব্যবসা করছি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে পরিচালনা করায় আমার হোটেলের বেশ সুনাম রয়েছে। খাবারে কোনো খারাপ জিনিস দেওয়া হয় না। এমনকি কর্মচারীরা সবাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে খাবার তৈরি ও পরিবশেন করেন।
রুবেলুর রহমান/জেএস/জেআইএম