খেলাধুলা

লাভের মুখ দেখে আরেকটি একাডেমি চালু করতে যাচ্ছে বাফুফে

এলিট একাডেমি নাম দিয়ে বছর দুয়েক ধরে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বয়সভিত্তিক ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

গত মৌসুমে একাডেমি থেকে একজন ফুটবলার নিয়েছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দল মোহামেডান। এবার ১০ ফুটবলার নিয়েছেন দেশের শীর্ষ লিগের কয়েকটি ক্লাব।

চাহিদা বেশি থাকায় বাফুফে নিলামের মাধ্যমে ওই ফুটবলারদের বিক্রি করেছে ক্লাবের কাছে। ২৬ আগস্ট হওয়া নিলামে ১০ ফুটবলার বিক্রি হয়েছে ৬৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকায়। বিক্রি হওয়া ১০ ফুটবলারের মধ্যে ৬ জনই বিকেএসপির শিক্ষার্থী। দেশের আনাচে-কানাচে থেকে এই প্রতিভাবানদের খুঁজে বের করার পুরো কৃতিত্বই বিকেএসপির।

মাত্র দুই বছরে খেলোয়াড় বিক্রি করে লাভের মুখ দেখে বাফুফে খুব উৎসাহিত। এখন তারা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আরেকটি একাডেমি শুরু করতে যাচ্ছে। যে একাডেমি থেকে বাফুফে খেলোয়াড় সরবরাহ করবে তাদের ‘এলিট একাডেমি’তে।

নতুন এই একাডেমি হবে অনাবাসিক। কার্যক্রম চলবে বাফুফে ভবন সংলগ্ন টার্ফ ও কমলাপুর স্টেডিয়ামে। বুধবার বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

‘ফুটবল ফর হেলথ’ স্লোগান নিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে এই একাডেমি। ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সের ছেলেদের দুটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতি গ্রুপে সর্বোচ্চ ৪০ জন ফুটবলার ভর্তি করা হবে। এই একাডেমিতে প্রশিক্ষণ করাতে একজন অভিভাবককে তার সন্তানের জন্য গুনতে হবে মাসে ৩ হাজার টাকা। ভর্তি হতেই লাগবে ২ হাজার টাকা।

সপ্তাহে অনুশীলন হবে তিন দিন বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার। এই একাডেমিতে কাজ করবেন ৪ জন কোচ। ঘোষণার দিন বুধবার থেকেই ফরম বিক্রি শুরু করেছে বাফুফে। আগে আসলে আগে ভর্তি হতে পারবেন আগ্রহীরা। এখানে কোয়ালিটির কোনো বালাই নেই।

এক একাডেমি চালাতেই নাকি হিমশিম খেতে হচ্ছে বাফুফেকে। বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কার কথাও মাঝেমধ্যে বলেন বাফুফে কর্মকর্তারা। তার মধ্যেই আরেকটি একাডেমি চালু করতে যাচ্ছে তারা।

নতুন এই একাডেমি তৈরি করে বাফুফে কতটা সাফল্য পাবে এবং কতদিন টিকে থাকবে সেটা সময়ই বলে দেবে। দূত হিসেবে বাফুফের একাডেমির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান।

আরআই/এমএমআর/জিকেএস