২০২২ সালের এই দিনে দিনাজপুরে মৌসুমি বেগম নামে এক গৃহবধূ সিজারের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম দেন। তবে প্রথম জন্মদিনে অর্থের অভাবে সন্তানদের নতুন জামা দিতে পারেননি ঋণে জর্জরিত দিনমজুর বাবা। ইচ্ছে থাকলেও জন্মদিন পালন করার সামর্থ্য নেই তাদের।
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ভান্ডারা ইউনিয়নের ভান্ডারা সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম ও মৌসুমি বেগম। বিয়ের ১০ বছর পর তাদের ঘর আলো করে আসে তিন ছেলে ও এক মেয়ে। তবে তাদের ভরণপোষণে হিমসিম খাচ্ছেন দরিদ্র এ বাবা-মা।
শরিফুল ইসলাম বলেন, ঋণ করে একটি পাওয়ার টিলার কিনেছিলাম। স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর চিকিৎসা ও পরে সন্তানদের দুধ কেনার জন্য পাওয়ার টিলারটিও বিক্রি করে দিয়েছি। সন্তানদের দেখাশুনা করতে গিয়ে ঠিকমত কাজেও যেতে পারছি না। এখন কোনো রকম খেয়ে বেঁচে থাকাই কঠিন। এক আমেরিকান প্রবাসীর সহযোগীতায় সন্তানগুলোর দুধ ও খাবার কিনতে পারি। সন্তানরা ছাড়াও আমার পরিবারে মোট তিনজন মানুষ। তার মধ্যে আমি একাই উপার্জন করতাম। সন্তানদের দেখাশুনা করতে গিয়ে কাজে যাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বিয়ের ১০ বছর পর একসঙ্গে চার সন্তানের মা হলেন প্রসূতি
তিনি আরও বলেন, অভাবের এই সংসারে ইচ্ছে থাকলেও সন্তানদের জন্য কিছু করার সামর্থ্য নেই। তবে মা-বাচ্চারা সুস্থ আছেন।
শরিফুল ইসলামের সঙ্গে মৌসুমি বেগমের ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছরের মাথায় একটি মেয়ে হয়ে মারা যায়। এরপর প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. ইসরাত শারমিনের কাছে চিকিৎসা নেন। দীর্ঘ ৮ বছর পর সিজারিয়ানের মাধ্যমে তিন ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দেন মৌসুমি বেগম।
এমদাদুল হক মিলন/জেএস/জিকেএস