দরজায় এসে স্থগিত হয়ে গেলে কক্সবাজারের মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সোমবার হঠাৎ করে এ ইউনিয়নের নির্বাচন ‘আপাতত : স্থগিত’ রাখাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আদেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রোববার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অফিস স্মারক-১৭. ০০. ০০০০. ০৭৯. ৪১. ০২৫. ১৬ (অংশ-১)-১১৩ নম্বর মূলে নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপ-সচিব মো. সামসুল আলম এ আদেশ দেন।আদেশে বলা হয়েছে, বিগত ৩ ও ১৬ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং-২৫৫৫/২০১৬ এর আদেশ পর্যালোচনা করে ২২ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য মহেশখালী উপজেলার কালারমাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আপাতত : স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেছবাহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।সূত্র মতে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে কালারমারছরা ইউনিয়নে মনোনয়ন পান আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. সেলিম চৌধুরী। পরে তার মনোনয়ন বাতিল করে প্রয়াত ওসমান চেয়ারম্যানের ছেলে তারেক বিন উসমান শরীফকে ২২ ফেব্রুয়ারি দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।হঠাৎ তারেককে মনোনয়ন দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২৭ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতে আপিল করেন সেলিম চৌধুরী (আপিল নং-১০/২০১৬ এবং ১১/২০১৬)।মামলার প্রেক্ষিতে ৩ মার্চ কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন এক মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগির হোছেন এবং একেএম শহীদুল হক।আদালতের এই আদেশে কেন কালারমারছড়া নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জেলা নির্বাচন অফিসার এবং উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কাছে জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদেশের বাস্তবায়ন বিষয়েও জানাতে বলা হয় আদেশে। আদেশ পর্যালোচনা করে নির্বাচন কমিশন শেষ মুহূর্তে এসে কালারমারছরায় নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেছবাহ উদ্দিন। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সোমবার বিকেলে কালারমারছরার রিটার্নিং অফিসার বরাববপত্র প্রেরণ করেছেন (স্মারক নম্বর-১৭.০৩.২২০০.০০০.১৯.০০৪.১৫-)। নির্বাচন কমিশন সচিবসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে এ পত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। সায়ীদ আলমগীর/এআরএ/এবিএস