দেশজুড়ে

বেনাপোল স্থলবন্দর সংলগ্ন পরিত্যক্ত ঘর থেকে ১৮ ককটেল জব্দ

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে ১৮টি ককটেল জব্দ করেছেন র‌্যাবের সদস্যরা। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হননি।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ককটেলগুলো জব্দ করা হয়। ঘরটির মালিক বেনাপোল বন্দরের শ্রমিক সরদার বাদলের। তবে সেখানে কেউ বসবাস করেন না। ককটেল জব্দের ঘটনায় আবারো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

র‌্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেন বলেন, গোপন সংবাদে জানতে পারি বেনাপোল স্থলবন্দর সংলগ্ন বাদল সরদারের পরিত্যক্ত ঘরে বিপুল পরিমাণ ককটেল মজুত রাখা আছে। সকাল থেকে সেখানে নজর রাখা হয়। শনিবার বিকেলে র‌্যাবের একটি টিম নিয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। মাটির নিচে পুঁতে রাখা ১৮টি তাজা ককটেল জব্দ করা হয়। ককটেলগুলো বালতির মধ্যে বালি দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, জব্দ ককটেল থানায় জমা দিয়েছে র‌্যাব। সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হবে। কে বা কারা কি উদ্দেশে ককটেলগুলো রেখেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

১৪ জুলাই বেনাপোল পোর্ট থানার বিপরীতে গাজীপুর গ্রামের একটি দোতলা ভবনে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এতে ভবনটির নিচতলায় বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরটিতে কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এখনো এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।

এর আগে ৮ জুন ভোরে বেনাপোল পোর্ট থানার ছোট আঁচড়া এলাকার রয়েলের মোড়ে অবস্থিত নিউ আলিফ ট্রান্সপোর্ট অফিসে ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। লিটন হোসেন নামে এক ব্যক্তি ব্যবসার জন্য অফিস ভাড়া নেন। অফিসের মধ্যে ককটেল রাখায় তা বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ট্রান্সপোর্ট মালিক লিটন হোসেনকে আটক করে। তার কাছ থেকে চারটি ককটেল ও চারটি হাতবোমা উদ্ধারও করে পুলিশ। এসব ঘটনায় আতঙ্কের মধ্যে আছে এলাকার লোকজন।

মো. জামাল হোসেন/এসজে/জেআইএম