শখের বশে মানুষ কতো কিছুই না করে। খরচ করে লাখ লাখ টাকা। মানুষ ভেদে সৌখিনতাও হয় ভিন্ন ভিন্ন। আবার সাধ ও সাধ্যের মধ্যে শখের ধরণও হয় আলাদা আলাদা।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তেমনি বাবা-মায়ের ইচ্ছা পূরণের জন্য হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে এসেছেন মো. আলম আনসারী নামে এক সৌদি প্রবাসী। তার বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার মমিনপুর মুকমদশা গ্রামে। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. রহিম বকাউলের ছেলে। হাজারো উৎসুক মানুষ ভিড় জমায় হেলিকপ্টার ও তাকে দেখার জন্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রামের চারপাশে ফসলি মাঠ। সবুজ সমারোহের মাঝখানে তৈরি হেলিপ্যাড। বর্নিল সাজে সজ্জিত পুরো এলাকা। দল বেঁধে ফসলি জমির আইল দিয়ে, সড়ক দিয়ে নারী পুরুষ আসছেন হেলিপ্যাডের পাশে। সৌদি প্রবাসী আলম আনসারী হেলিকপ্টারে চড়ে আসবেন তার বাড়ি।
কিছু সময়ের মধ্যে আকাশে ভেসে বেড়ায় হেলিকপ্টারের শব্দ। উৎসুক নারী পুরুষ ও শিশুরা তাকিয়ে আকাশের দিকে। বাবা-মা ও চেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টার থেকে নেমে আলম আনসারী। হৈ চৈ পড়ে গেল পুরো এলাকায়।
প্রবাসী মো. আলম আনসারীর বাবা মুক্তিযোদ্ধা আ. রহিম বকাউল এবং মা তফুরা বেগম বলেন, আমাদের খুব ইচ্ছা ছিল ছেলে আলম আনসারী বিদেশ থেকে দেশে ফিরে হেলিকপ্টারে বাড়িতে আসবে। আজ আমাদের মনের আশা পূর্ণ হয়েছে।
প্রবাসী মো. আলম আনসারী বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে বাস করছি। আমার বাবা এবং মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য এবং গ্রামের মানুষ ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দিতে আমি ব্যতিক্রমীভাবে বাড়ি ফিরি। নিজের শখ পূরণের পাশাপাশি আমি আমার সাধ্যমতো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও এলাকার মানুষের পাশে থাকি। সার্বিক সহযোগিতা করি। ভবিষ্যতেও করবো।
এসজে/জেআইএম