উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের হাটিকুমরুলে অবস্থিত এস আর গ্রুপের হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট ‘ফুড ভিলেজ প্লাস’র সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। রেস্টুরেন্টটির মালিক বগুড়া সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ। তিনি বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাটিকুমরুল ফুড ভিলেজ প্লাসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সাগর আহম্মেদ জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আজ সকালে ফুড ভিলেজ প্লাসের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে করে এ স্থানে আর কোনো গাড়ি থামবে না।
তিনি জানান, ২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কাছ থেকে লিজ নিয়ে রেস্তোরাঁটি করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় ৪ লেনের মহাসড়কের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাজাতিক মানের ইন্টারচেঞ্জ। এটির মাধ্যমে গোলচত্বরের এক কিলোমিটার আগেই ভাগ হয়ে যাবে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২৭টি জেলার যানবাহন। এ কারণে মূলত প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে একই মহাসড়কের নলকা এলাকায় রেস্তোরাঁটি চালু করার চিন্তা রয়েছে।
ফুড ভিলেজ প্লাসের তন্দুর রুটির কারিগর জাহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, হাটিকুমরুল গোলচত্বরে ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণ কাজ চলছে। যার কারণে রেস্তোরাঁটি দ্রুত ভেঙে ফেলবে। তাই আজ সকাল থেকে রেস্তোরাঁর সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে আমরা প্রায় ছয় শতাধিক মানুষ বেকার হয়ে পড়েছি।
সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ফুড ভিলেজ প্লাসকে ২ দশমিক ৬৭ একর জায়গা ২০১৩ ও ২০১৮ সালে ৫ বছর মেয়াদী লিজ দেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৮ সালে লিজ মূল্য ছিল ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬৪০ টাকা। সেই শর্ত অনুযায়ী ওই লিজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এদিকে ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্পে জায়গাটি প্রয়োজন হওয়ায় সরকার অধিগ্রহণের কাজও সম্পন্ন করেছে। তাই আমরা রেস্তোরাঁর মালিকপক্ষকে জায়গাটি খালি করে দিতে বলেছি।
২০১৩ সালের ২৬ মার্চ ফুড ভিলেজ প্লাস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছিলেন এস আর গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ।
এফএ/এমএস