দেশজুড়ে

আইজিপির দৃষ্টি আকর্ষণে ছাত্রলীগ নেতার গ্রেফতার চেয়ে বিক্ষোভ

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বগুড়ায় আসার খবরে ছাত্রলীগ নেতা সজল ঘোষের গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন তারা। ওই সময় বগুড়ায় পুলিশ প্লাজার উদ্বোধন করেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শহরের নবাববাড়ী সড়কে অত্যাধুনিক এই বহুতল ভবনের উদ্বোধন করা হয়।

এদিকে আইএইচটি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা ‘আইজিপি মহোদয় আপনার পুলিশ নীরব। আমারা আইএইচটি শিক্ষার্থীরা কাঁদছি রাস্তায়। মানবিক পুলিশ কি দানব হয়ে গেলো’ লেখা ব্যানারে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা সজল ঘোষের গ্রেফতার, অধ্যক্ষ ডা. আমায়ত উল হাছিনের অপসারণ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়। এ সময় ক্যাম্পাসের মূল ফটকে পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান নেন।

মুশফিকুর রহিম নামে এক আইএইচটি শিক্ষার্থী বলেন, মামলা দায়ের হলেও সজলের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অথচ সজল এখনো মুঠোফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। ১২ দিন যাবত আন্দোলন করা হলেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পরও সজল এখনো আইনের ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে।

রিফাত উদ্দিন নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মামলা দায়েরের পরও সজল গ্রেফতার হয়নি। তাই আইজিপির দৃষ্টিআকর্ষণ করতে সব শিক্ষার্থীরা মিলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছি। তারপরও পুলিশ পরলে এসে ব্যানার ঢেকে দেয়। অথচ তারা সজলকে গ্রেফতার করতে পারে না।

গত ২৯ আগস্ট বগুড়া আইএইচটি ছাত্রাবাসের কক্ষ দখল করে মারধর, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল ঘোষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। পরে ১ সেপ্টেম্বর বগুড়া সদর থানায় আইএইচটি শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে জানা যায়, এক যুগ ধরে অবৈধভাবে আইএইচটির ছাত্রাবাসের ২১৮ নম্বর কক্ষ দখল করে আছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সজল ঘোষ। তিনি শিক্ষার্থীদের আটক করে মারধর, চাঁদাবাজি, অর্থ আদায়, প্রতারণা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। পুরো ক্যাম্পাসে বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করতেন। এছাড়া হলে সিট বাণিজ্য, মাদক সেবন এবং পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়েও জড়িত তিনি।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান উল্লাহ জানান, সজলের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত ও সজলকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তাদের বাকি দাবিগুলো নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করবে। শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এফএ/এমএস