নারায়ণগঞ্জের একজন সংসদ সদস্য প্রায় সময় বলেন ‘খেলা হবে’। ‘খেলা হবে’ এখন আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগান হয়ে গেছে। উনাদের ‘খেলা হবে’ মানে নারায়ণগঞ্জ শহরকে খুন-গুমের শহরে পরিণত করা বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, উনাদের খেলাটাই এরকম। স্টেডিয়ামের মধ্যে উনারা একা একা খেলেন। গোল দিতেই থাকেন। আর বিরোধীদের স্টেডিয়ামের বাইরে হাত-পা বেঁধে রাখেন। এ হচ্ছে রাজনৈতিক ব্যবস্থা। উনাদের পেছনে পুলিশের প্রহরা আর গুন্ডাবাহিনী। এটা না থাকলে উনাদের কাপড় চোপড় ভিজে যায়। এ খেলা নিয়ে খুব বেশিদূর যাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: দেশে একটি মাফিয়াতন্ত্র চলছে: জোনায়েদ সাকি
তিনি আরও বলেন, তারা সচেতনভাবে জনগোষ্ঠীর মাঝে বিভাজন তৈরি করছে। বিরোধিতা করলেই পাকিস্তানপন্থি রাজাকার-জামায়াত। এ ট্যাগিং দিয়ে তারা তাদের ফ্যাসিবাদকে জায়েজ করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি অতএব আমাদের ক্ষমতায় রাখতে হবে। এভাবে বাংলাদেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে নিজেদের গদি রক্ষার জন্য।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ভাগ-ভাটোয়ারা দিয়ে পুরো রাষ্ট্রকে একটা সিন্ডিকেটে পরিণত করা হয়েছে। রাষ্ট্র ক্ষমতায় সবাই আমরা লুটেপুটে খাবো। যার কারণে সাম্প্রতিক দফায় দফায় জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা বড় বড় সচিবরা তাদের অধস্তনদের নিয়ে মিটিং করছেন। যে কোনো মূল্যে শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে এসময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/আরএইচ/জিকেএস