ফেনীর সোনাগাজী থেকে অপহৃত মাদরাসাছাত্রীকে (১৭) তিনদিন পর গাজীপুরের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরণকারী মো. ইয়াছিনকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকা থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সোমবার পরীক্ষা শেষে মাদরাসা থেকে ফেরার পথে ওই ছাত্রী অপহরণের শিকার হয়।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা হাফেজ উল্যাহ বাদী হয়ে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর এলাকার ফয়েজ আহাম্মদের ছেলে মো. ইয়াছিন, তার সহযোগী অটোরিকশাচালক আবদুল খালেকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও চারজনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার পর মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী সদর উপজেলার দৌলতপুর এলাকা থেকে আবদুল খালেককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অপহরণের শিকার ওই ছাত্রী উপজেলার স্থানীয় একটি মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ওই ছাত্রীকে মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন ইয়াসিন। সোমবার সকালে পরীক্ষা দিতে ওই ছাত্রী তার ভাই ও চাচাতো বোনের সঙ্গে মাদরাসায় যায়। পরীক্ষা শেষে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে ইয়াসিনসহ কয়েকজন তাদের গাড়ির গতিরোধ করেন। এসময় তারা ওই ছাত্রীর ভাই ও চাচাতো বোনকে মারধর করে অটোরিকশা থেকে তাকে নামিয়ে নিয়ে যান।
Advertisement
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার এসআই মো. জাহিদ হাসান বলেন, মামলার পর গ্রেফতার আবদুল খালেকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেফতারে মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার রাতে ইয়াছিনের অবস্থান নিশ্চিত হই।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করে ইয়াছিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতেই তাদের থানায় আনা হবে। শুক্রবার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা শেষে তাকে আদালতে হাজির করে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাম হাসান অপহৃত মাদরাসা ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার ইয়াছিনকে শুক্রবার আদালতে হাজির করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এমআরআর
Advertisement