সিলেটে পাঁচ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন কয়েক হাজার মানুষ। হঠাৎ বিদ্যুতের এমন বিপর্যয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। রোববার সন্ধ্যা ৭টা থেকে অন্ধকার হয়ে পড়ে নগরের বেশিরভাগ এলাকা।
Advertisement
সিলেটের কুমারগাঁও ৩৩ কেভি জাতীয় গ্রিডের একটি সার্কিট ব্রেকার পু্ড়ে যাওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)।
তবে রাত ১১টা ৫২ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখার সময় মেডিকেল রোড, রিকাবীবাজার, হযরত শাহজালাল (র.) মাজার ও দরগাহ গেট এলাকা পাঁচ ঘণ্টা অন্ধকারে থাকার পর বিদ্যুতের দেখা মিলে। তবে প্রায় আরও আট হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন।
রাত ১২টায় জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিলেট বিদ্যুৎ বিভাগ ১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুল করিম। তিনি জানান, আরও ১-২ ঘণ্টা সময় লাগবে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে।
Advertisement
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিবিবি-১ এর ৩৩ কেভি শেখঘাটের গ্রিড প্রান্তে ব্রেকার (সিটি) বিস্ফোরিত হওয়ায় শেখঘাট উপকেন্দ্রের আওতাধীন সব গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়।
রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ সমস্যা হয়। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) প্রকৌশলীরা কুমারগাঁও গ্রিডে ট্রান্সফরমার ও ব্রেকার মেরামতের কাজ করছিলেন।
বিউবোর সিলেট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল কাদির জাগো নিউজকে জানান, সিলেটের কুমারগাঁও গ্রিডে ৩৩ কেভি ট্রান্সফরমার ও ব্রেকার পুড়ে যাওয়ায় বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১–এর আওতাধীন শেখঘটের ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে উপকেন্দ্রের আওতাধীন নবাবরোড, মাজার সংলগ্ন পায়রা আবাসিক এলাকা, ঘাসিটুলা, কলাপাড়া, মির্জাজাঙ্গাল, শাহজালাল ঘাট, কিনব্রিজ, রামের দিঘিরপাড়, সুরমা মার্কেট, তোপখানা, লালদীঘিরপাড়, মজুমদারপাড়া, শামিমাবাদ আ/এ, কানিশাইল, বেতের বাজার, কলাপাড়া, টিকরপাড়া, শেখঘাট, কাজীর বাজার, তেলিহাওড়, তালতলা, মেডিকেল রোড, কাজলশাহ, ভাতালিয়া, কুয়ারপাড়, লামাবাজার, দাড়িয়াপাড়া, রিকাবীবজার, মধুশহীদ, মুন্সিপাড়া, সাগরদিঘিরপাড়, মিরের ময়দান, পুলিশ লাইনস, রিকাবীবাজার ও স্টেডিয়াম এলাকার প্রায় ১০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হন।
সিলেট নগরের মেডিকেল রোডের শিউলী ফার্মেসির মালিক সনজিত রায় জাগো নিউজকে বলেন, সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর রাত ১১টা ৫২ মিনিটে বিদ্যুৎ আসে।
Advertisement
নগরের ঘাসিটুলা এলাকার স্কুল শিক্ষিকা শাহিদা জামান বলেন, সন্ধ্যা ৭টা থেকে বিদ্যুৎ নেই। কখন আসবে তা কেউ বলতে পারছে না। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় পরিবারের সদস্যরা গরম ও অন্ধকারে ভোগান্তিতে রয়েছেন।
এসএএমডি/জেডএইচ/