প্রায় ছয় ঘণ্টা অন্ধকারে থাকার পর সিলেটে ধাপে ধাপে বিদ্যুতের দেখা মেলে। রাত ১১টা ৫২ মিনিট থেকে দেড়টার মধ্যে সব এলাকায় বিদ্যুৎ আসে।
Advertisement
রাত দেড়টায় জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) সিলেট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল কাদির। তিনি বলেন, প্রকৌশলীদের টানা চেষ্টায় সার্কিট পুড়ে যাওয়ার পাঁচ থেকে সাড়ে ৬ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
এর আগে সিলেটের কুমারগাঁও ৩৩ কেভি জাতীয় গ্রিডের একটি সার্কিট ব্রেকার পু্ড়ে যাওয়ায় সন্ধ্যা ৭টা থেকে বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে করে ভোগান্তিতে পরে কয়েক হাজার মানুষ।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিবিবি-১ এর ৩৩ কেভি শেখঘাটের গ্রিড প্রান্তে ব্রেকারের (সিটি) বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে শেখঘাট উপকেন্দ্রের আওতাধীন সব গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এই উপকেন্দ্রের আওতায় ১০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন।
Advertisement
বিউবো সূত্র জানায়, সিলেটের কুমারগাঁও গ্রিডে ৩৩ কেভি ট্রান্সফরমার ও ব্রেকার পুড়ে যাওয়ায় বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১–এর আওতাধীন শেখঘটের ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে উপকেন্দ্রের আওতাধীন নবাবরোড, মাজার সংলগ্ন পায়রা আবাসিক এলাকা, ঘাসিটুলা, কলাপাড়া, মির্জাজাঙ্গাল, শাহজালাল ঘাট, কিনব্রিজ, রামের দিঘিরপাড়, সুরমা মার্কেট, তোপখানা, লালদীঘিরপাড়, মজুমদারপাড়া, শামিমাবাদ আ/এ, কানিশাইল, বেতের বাজার, কলাপাড়া, টিকরপাড়া, শেখঘাট, কাজীর বাজার, তেলিহাওড়, তালতলা, মেডিকেল রোড, কাজলশাহ, ভাতালিয়া, কুয়ারপাড়, লামাবাজার, দাড়িয়াপাড়া, রিকাবীবজার, মধুশহীদ, মুন্সিপাড়া, সাগরদিঘিরপাড়, মিরের ময়দান, পুলিশ লাইনস, রিকাবীবাজার ও স্টেডিয়াম এলাকার গ্রাহকরা বিদ্যুৎহীন ছিলেন।
সিলেট নগরের মেডিকেল রোডের শিউলী ফার্মেসির মালিক সনজিত রায় জাগো নিউজকে বলেন, সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। রাত ১১টা ৫২ মিনিট বিদ্যুৎ আসে। তবে রাত আড়াইটা পর্যন্ত একাধিকবার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করেছে।
নগরের ঘাসিটুলা এলাকার স্কুল শিক্ষিকা শাহিদা জামান বলেন, সন্ধ্যা ৭টা থেকে বিদ্যুৎ নেই। কখন বিদ্যুৎ আসবে তা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারছিলেন না। তবে গভীর রাত দেড়টায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকার পর বিদ্যুতের দেখা মিলেছে।
এসএএমডি/জেডএইচ/
Advertisement