দেশজুড়ে

বই পড়ার অভ্যাস গড়তে এক ঘণ্টার উৎসব

‘আসুন বই পড়ি, সমৃদ্ধ জাতি গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলীতে এক ঘণ্টা বই পড়া উৎসব পালন করা হয়েছে। জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের উদ্যোগে ও মাশরুম চাষি গ্রুপের সহযোগিতায় ব্যতিক্রমী এই বই পড়া উৎসব পালন করা হয়।

বুধবার (৪ অক্টোবর) উপজেলার উথলী রেলস্টেশন বাজারে বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এই এক ঘণ্টার বই পড়া উৎসব পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জীবননগর কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে মানুষ এখন বই পড়া থেকে বিরত থাকছে। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করলে মানসিক ও শারীরিক অনেক সমস্যায় পড়তে পারেন। কিন্তু বই পড়লে কোনো ক্ষতি নেই। বরং যতোবেশি বই পড়বেন, ততোবেশি মনের খোরাক মিটবে, ততো বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। এক ঘণ্টার বই পড়ার মধ্য দিয়ে আমি সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে বই পড়তে উদ্বুদ্ধকরণের চেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন, আমি সর্বপ্রথম জীবননগর পৌরসভায় এই এক ঘণ্টার বই পড়ার উৎসব পালন করেছি। আজ পঞ্চম দিনে উথলী ইউনিয়নে এই উৎসব পালন করা হলো। তিন শতাধিক মানুষকে নিয়ে এই বই পড়া উৎসব আমার উদ্যোগে সবচেয়ে বড় উৎসব। বিভিন্ন কৃষি ভিত্তিক বই পড়ে আমাদের কৃষকরা কৃষিক্ষেত্রে উন্নতি করে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে অবদান রাখবে এটাই প্রত্যাশা।

উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে ও উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সাংবাদিক সালাউদ্দীন কাজলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, উথলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কবি ও সাহিত্যিক ডা. জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সেনেরহুদা জান্নাতুল খাদরা দাখিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু জাফর, রাজনৈতিক নেতা মিজানুর রহমান মিল্টু, আতিকুর রহমান, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, উথলী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ প্রমূখ।

এক ঘণ্টার বই পড়া উৎসবে স্থানীয় সমাজসেবক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল শ্রেণি-পেশার তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।

এক ঘণ্টা বই পড়া শেষে উক্ত বই থেকে পাঠকের মধ্যে কুইজ প্রতিযোগিতায় ৬ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

হুসাইন মালিক/এফএ/জিকেএস