ফেনীতে বসতঘরের আগুনে পুড়ে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাতে তাদের বাবা মুহাম্মদ রনি হোসেন বাদী হয়ে ১৩ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইলাম চৌধুরী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে গ্রেফতারের স্বার্থে আসামিদের নাম প্রকাশে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- মধ্যম বিরিঞ্চি এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে জনি (২২), মরহুম বেগু ড্রাইভারের ছেলে আনোয়ার (৫২), ছাগলনাইয়ার পশ্চিশ শিলুয়া এলাকার মরহুম ইলিয়াছ ড্রাইভারের ছেলে বাদল (৪২), তার ভাই রমজান আলী (৩৮), মরহুম মিন্টু ড্রাইভারের ছেলে দিদার (৩২), মরহুম গফুর ড্রাইভারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২), মরহুম শাহজাহান ড্রাইভারের ছেলে রকি (২৮), মরহুম হেঞ্চু মিয়ার ছেলে মিয়া ড্রাইভার (৫২), মো. সবুজের ছেলে সজিব (২২), মরহুম সোনামিয়ার ছেলে মো. মিয়া (৫২), শাহ আলম মেম্বারের মেয়ে মোকছেদা আক্তার সুমি (৩০), পশ্চিম মধুগ্রাম এলাকার আবু আহাম্মদের ছেলে আবদুল আজিম (৪৫)।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অংপ্রু মারমা জানান, থানায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। তবে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নাকি না দুর্ঘটনা সেটি যাচাই করার জন্য পিবিআইর একটি দল কাজ করছে। এছাড়া সিআইডি ও পুলিশের বেশ কয়েকটি দল তদন্ত করছে। ঘটনাটিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাবা-মায়ের চোখের সামনে আগুনে পুড়লো ঘুমন্ত দুই শিশু
এর আগে পূর্ব বিরোধের জেরে মঙ্গলবার রাতে রনি হোসেনের ঘরে আগুনে তার দুই শিশু সন্তান মাইদুল ইসলাম শাহাদাত (১৩), রাহাদুল ইসলাম গোলাপ (৬) আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যান।
শিশুদের বাবা রনি হোসেন জানান, কিছুদিন আগে আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে অনুমতি ছাড়া প্রতিবেশী জনি, আনোয়ার, বাদল, জয়নাল, ফারুক ও আরাফাত তাদের স্বজন হোনা মিঞার মরদেহ দাফন করতে গেলে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর থেকেই দফায় আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তারা। এর জেরে তারা এ অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/আরএইচ/এমএস