তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে মাগুরার মুক্তিকামী মানুষ উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। মুক্তি সংগ্রাম আরও বেগবান হয়। মাগুরার সর্বত্র মিছিল সমাবেশে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাড়ায় মহল্লায় গঠিত হয় সংগ্রাম কমিটি। পাকহানাদার বাহিনীদের প্রতিরোধের জন্য মাগুরার বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ জাগো নিউজকে জানান, ৭১ এর অগ্নিঝরা মার্চে মাগুরায় সহস্র মুক্তি পাগল কিশোর যুবক মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে পুলিশ ব্যারাকের আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রাথমিকভাবে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। যা পরে মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।মাগুরা পিটিআই স্কুলের নাইট গার্ড গোলাম কুদ্দুস মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ৭১ এর মার্চে মাগুরা রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের যে আগুন জ্বলে উঠেছিল তা দমন করতে পরবর্তীতে পাকহানাদার বাহিনী মাগুরা শহরের পিটিআই, সরকারি কলেজ, সরকারি বালক বিদ্যালয়, ওয়াপদা বাংলো, জেলা পরিষদ বাংলো, ভিটি আইসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করে।জেলা কমান্ডার মোল্যা নবুয়র আলী জাগো নিউজকে জানান, মাগুরা অঞ্চলের মুুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অসংখ্য বীরোচিত যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে। মুক্তিযোদ্ধারা শ্রীপুর থানা ভবন, মহম্মদপুর থানা ভবন দখল করে অস্ত্র গোলাবারুদ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়াসহ অনেক যুদ্ধে কৃতিত্ব দেখিয়েছে। আরালিয়া, সিনগ্রাম, নাকোল আর্মি ক্যাম্প, মহাম্মদপুর টিটিডিসি ভবন, বিনোদপুর রাজাকার ক্যাম্পে হামলা করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত্র করতে সক্ষম হয়।আরাফাত হোসেন/এসএস/আরআইপি