চুয়াডাঙ্গার দর্শনা নাস্তিপুর সীমান্তের মাথাভাঙ্গা নদীতে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় তার কোমরে বেল্টে বাঁধা অবস্থায় ১০টি সোনার বার পাওয়া গেছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর সীমান্ত সংলগ্ন মাথাভাঙা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবকের নাম মিরাজ আলী (১৮)। তিনি দর্শনা থানার নাস্তিপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্ত সংলগ্ন মাথাভাঙা নদী থেকে কোমরে বেল্ট বাঁধা অবস্থায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি, আজ দুপুর থেকে মিরাজকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বিকেলে নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, মিরাজ বিকেলের দিকে সহকর্মীদের নিয়ে নাস্তিপুর নদীর ঘাটের কাছে অপেক্ষা করছিলেন। পরে সীমান্তের ওপারে যাওয়ার উদ্দেশে নদীতে লাফ দিলে নিখোঁজ হন। পরে তার সহকর্মীরা বাড়িতে খবর দিলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গ্রামের ঘাট মোড়ে মরদেহ ভেসে ওঠে। মরদেহ ডাঙ্গায় তোলার পরপরই স্থানীয় ক্যাম্পের বিজিবি ও দর্শনা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। পরে মিরাজের কোমরে বিশেষ পদ্ধতিতে বেল্টের সঙ্গে বাধা অবস্থায় সোনার বার উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান জানান, নিহতের তরুণের শরীর তল্লাশি করে আটটি বড় ও দুটি ছোট সাইজের সোনার বার উদ্ধার করা করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হুসাইন মালিক/এসআর/জিকেএস