দেশজুড়ে

সিজারের পর প্রসূতির মৃত্যু, বেঁচে আছে নবজাতক

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির ১৫ মিনিট পর সিজার অপারেশনে তানিয়া বেগম (১৯) নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। তবে বেঁচে আছে নবজাতক ছেলে সন্তানটি।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের হাসপাতাল মোড়ে অবস্থিত সিটি জেনারেল হাসপাতাল ও কনসালটেশন সেন্টারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রসূতি তানিয়া বেগম গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের পলুপাড়া (বাগদা) গ্রামের মাহাবুর রহমানের স্ত্রী।

স্বজনরা জানায়, সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে প্রসূতি তানিয়া বেগমকে সিটি জেনারেল হাসপাতাল ও কনসালটেশন সেন্টারে নিয়ে আসলে দ্রুত তার সিজার করার পরামর্শ দেন সেন্টারের ডা. মশিউর রহমান সাদিক ও গাইনি চিকিৎসক তৌহিদা ইয়াসমিন সমা। দুপুর পৌনে ২টায় তানিয়া বেগমকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর তার একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এ সময় রোগীর অবস্থা অবনতির কথায় জানায় চিকিৎসকরা।

একপর্যায়ে অপারেশন থিয়েটারে মৃত্যু হয় তানিয়া বেগমের। এ খবরে স্বজন ও এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে উঠলে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায় ডা. মশিউর রহমান সাদিক ও গাইনি চিকিৎসক তৌহিদা ইয়াসমিন সমা।

স্বজনদের অভিযোগ, তড়িঘড়ি করে সিজার অপারেশন ও চিকিৎসকের অবহেলার কারণে মৃত্যু হয়েছে তানিয়া বেগমের। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান সাদিক ও গাইনি চিকিৎসক তৌহিদা ইয়াসমিন সমার শাস্তির দাবি জানান স্বজনরা।

এর আগেও এই হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার কারণে আরও তিন প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাই সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত হাসপাতালটি বন্ধের দাবি এলাকাবাসীর।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ডা. মশিউর রহমান সাদিক ও গাইনি চিকিৎসক তৌহিদা ইয়াসমিন সমার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সামিয়া খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করতে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) উদয় কুমার জাগো নিউজকে বলেন, প্রসূতির মুত্যুর ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখাসহ লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শামীম সরকার শাহীন/এমআরএম