তথ্যপ্রযুক্তি

তথ্য গোপন রাখার সাতটি উপায়

আধুনিক প্রযুক্তির কারণে মানুষের সুযোগ-সুবিধা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে তথ্য চুরির ঘটনা। ফোর্বস জানাচ্ছে কোন সাতটি উপায়ে আপনি খুব সহজেই ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করতে পারেন।পাসওয়ার্ড নিজের কাছে রাখুনকম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের পাসওয়ার্ড যেন কখনই এক না হয়। আর ব্যাংক কার্ড-এর সঙ্গে যেন এই পাসওয়ার্ডের মিল না থাকে। এছাড়া কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে কোনো পাসওয়ার্ড লিখে রাখবেন না। এর ফলে আপনার তথ্য চুরির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। বাড়ির বাইরে গেলে এগুলি লক করে যাবেন।নামে গুগল অ্যালার্ট ব্যবহার করুনএটা খুব সহজ পন্থা, আপনি যদি দেখতে চান ইন্টারনেটে আপনার সম্পর্কে সবাই কী বলছে। সোজা এই ঠিকানায় যান – http://www.google.com/alerts এবং আপনার নাম লিখুন। তারপর আপনার নামের বিভিন্ন ধরন লিখে, তার আগে ও পরে কোটেশন মার্ক জুড়ে দিন।ব্যবহারের পর লক্ষ রাখাআপনি যদি অন্য কারো কম্পিউটার বা ট্যাবলেট ব্যবহার করেন, তবে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। আপনার পর যিনি সেটা ব্যবহার করবেন, তিনি যাতে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে না পারে – সেটা খেয়াল রাখুন। আপনি যদি এটা করতে ভুলে যান, তাহলে ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে।ফোন, ইমেইল বা জিপ কোড ব্যবহার করতে না দেওয়াঅচেনা কোনো মানুষ এই নম্বরগুলো জানতে চাইলে, আপনারা দেবেন না। দেখা যায় কোনো অফিস তাঁর কর্মীর কাছ থেকে এ সব তথ্য চাইলে, অনেকেই সেচ্ছ্বায় তা দিয়ে দেয়। বহু অফিস এ নিয়ে একটি প্রোফাইল তৈরি করে। আপনার কিন্তু এ সব তথ্য না দেয়ার অধিকার আছে। তাই আপনি যদি এতে স্বাচ্ছ্ন্দ্যবোধ না করেন, তবে দেবেন না।কার্ড নয় ক্যাশআপনি যদি চান আপনি যে পণ্যটি কিনছেন, সেই কম্পানি আপনারা পরিচয় না জানুক, তবে নগদ অর্থে জিনিস কিনুন।ফেসবুকে নিরাপত্তার জন্য ফ্রেন্ডস ব্যবহার করুনফেসবুকে সবসময় সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা পরীক্ষা করুন। পোস্ট করার পর লক্ষ্য রাখুন আপনি আপনার ছবি বা মন্তব্য ফ্রেন্ডস করে রেখেছেন, নাকি পাবলিক করেছেন। আপনি যদি স্পেশ্যাল নির্বাচন করেন এবং ঠিক করে দেন কে কে আপনার পোস্ট দেখতে পাবে, তবে সেটা আপনার তথ্য নিরাপত্তার জন্য তুলনামূলকভাবে ভালো।হিস্ট্রি এবং কুকিস মুছে ফেলুনআপনি সবশেষ কবে এটা করেছেন? আপনি যদি নিশ্চিত না হন, ব্রাউজারে গিয়ে এটা পরিবর্তন করুন। ব্রাউজারের প্রাইভেসি সেটিংস-এ যান, সেখানে নেভার রিমেমবার হিস্ট্রি নির্বাচন করুন। এর ফলে ইন্টারনেটে আপনাকে ট্র্যাক করাটা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হবে। এছাড়া আপনি অ্যাড অন-ও ব্যবহার করতে পারেন। - ডয়চে ভেল