স্বামী, স্ত্রী ও শ্যালক নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি ডাকাত দল। তাদের দলে রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন সদস্য। দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত দলটি। এদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।
এরআগে শনিবার (২১ অক্টোবর) দিনগত রাতে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট ওয়্যারলেসপাড়ায় অভিযান চালিয়ে স্বামী, স্ত্রী ও জেলার সালথা উপজেলার ভাওয়াল গ্রাম থেকে আরেকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর সদরের তাম্বুলখানা গ্রামে এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় করা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন শহিদুল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী মিনু আক্তার শারমিন (৩৮) ও শহিদুলের শ্যালক আরিফ মাতুব্বর (৩০)। এসময় একটি মোবাইলফোন, প্রবাসীর বাড়ির সিসি ক্যামেরার ডিভিআর মেশিন ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ছুরি, গ্রিল কাটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, তাম্বুলখানা এলাকায় কাতারপ্রবাসী চান মিয়ার বাড়িতে সাতজনের ডাকাত দল গ্রিল কেটে মালামাল লুট করে। বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে মোবাইলফোন, কানের দুল, চুড়ি, চেইন ও নগদ অর্থসহ প্রায় আট লাখ টাকার মালামাল লুট করেন তারা। পরে তদন্ত করে ও প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের চিহ্নিত করা হয়।
গ্রেফতাররা গত ১৪ সেপ্টেম্বর নগরকান্দা থানা এলাকায় একটি বাড়িতে ডাকাতি করেছেন বলে জানান পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, বাগেরহাটের মোল্লারহাট, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও ঢাকার খিলগাঁও এলাকার আরেক বাড়িতে ডাকাতি করেছেন তারা। এছাড়া তারা দেশের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ বিন কালাম, অতিরিক্ত পুলিশ (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল প্রমুখ।
এন কে বি নয়ন/এসআর/জিকেএস